এবার অ্যাডিডাস পরিবারে ঢুকে পড়লেন স্বপ্না বর্মন। তাঁর দুই পায়েই ছ’টা করে আঙুল। যা নিয়ে বারবার পড়েছেন প্রচণ্ড সমস্যায়। যা তাঁকে ভোগাত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায়। অবশেষে এই ছবি বদলাতে চলেছে। গত এশিয়ান গেমসে সোনা জেতার পরই স্বপ্নার কোচ সুভাষ সরকার চেষ্টা শুরু করে দেন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য। যা করে দিল অ্যাডিডাস। স্বপ্নার সমস্যা নিজেই দেখেছিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠোর। তিনি বিষয়টা দেখার জন্য অনুরোধ করেছিলেন বিখ্যাত ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যাডিডাসকে। স্বপ্নাকে নিয়ে সুভাষ গিয়েছিলেন জার্মানি।
সোমবার এক বিবৃতিতে অ্যাডিডাস জানিয়ে দিল, হেপ্টাথলনের প্রতিটি ইভেন্টের উপযোগী আলাদা আলাদা জুতো তৈরি করে দেবে তারা। অর্থাৎ অ্যাডিডাসের সাত জোড়া জুতো পেতে চলেছেন জাকার্তা এশিয়ান গেমসে সোনাজয়ী স্বপ্না। তাঁর জুতোর জন্য গত কয়েকদিন ধরে জার্মানিতে নিজেদের সদর দপ্তরে অ্যাথলিট সার্ভিসেস ল্যাবে পরীক্ষা–নিরীক্ষা চালিয়েছে অ্যাডিডাস। তারপরই তারা সোমবার সবুজ সঙ্কেত দিল। অ্যাডিডাস ইন্ডিয়ার সিনিয়র মার্কেটিং ডিরেক্টর সাঁ ভ্যান উইক জানান, ‘অ্যাডিডাস বিশ্বাস করে, খেলাধুলোর মাধ্যমে জীবনে পরিবর্তন আনার শক্তি আমাদের আছে। স্বপ্না তো তার বিরাট উদাহরণ। অ্যাডিডাস ফ্যামিলিতে স্বপ্নাকে স্বাগত। আমরা খুব খুশি।’ আর কী বলছেন বঙ্গতনয়া? কষ্টের দিন শেষ হতে চলেছে, এটা ভেবেই তিনি প্রচণ্ড তৃপ্ত। স্বপ্নার কথায়, ‘অ্যাডিডাস ফ্যামিলির সঙ্গে যুক্ত হওয়াটা যে কোনও ক্রীড়াবিদের কাছেই সম্মানের। দেশের হয়ে সোনা জেতার স্বপ্ন আমার পূরণ হয়েছে। এবার আমার স্বপ্ন অলিম্পিকে দেশের হয়ে সোনা জেতা। সেই লক্ষ্য পূরণেই প্রস্তুতি শুরু করে দেব।’ এখানেই না থেমে উচ্ছ্বসিত স্বপ্নার সংযোজন, ‘নতুন জুতো পরে ট্রেনিংয়ে নামার জন্য মুখিয়ে আছি। অ্যাডিডাসের সমর্থনে অ্যাথলিট হিসেবে আরও উন্নতি করতে পারব, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত।’