দিন দুয়েক আগেই শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। রায়গঞ্জে রোড শো থেকে তড়িঘড়ি তাঁকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল কলকাতায়। তবে একদিন বাদেই ফের জনসভা করতে দেখা গেল তাঁকে। তারপর সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই এবার করোনা ধরা পড়ল মিঠুন চক্রবর্তীর? এমনই খবর ছড়াল মঙ্গলবার। কিন্তু খোদ মিঠুন বললেন ‘এসব গুজব। তবে বাড়িতেই আছি। বিউলির ডাল আর আলু পোস্ত খাচ্ছি। কাল রিয়্যালিটি শো-ও করব’।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনী প্রচারের ময়দানে বেজায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছিলেন ‘মোদীর তারকা সেনাপতি’ মিঠুন। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপির হয়ে জমজমাট ভোটপ্রচার করে এসেছেন এযাবৎকাল। দিন দুয়েক আগেই নির্বাচন কমিশনের নিষেধ সত্ত্বেও কোভিড সুরক্ষাবিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে মালদায় রমরমা ভোটপ্রচার করে চক্ষুশূল হয়েছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। যার জেরে সরব হতে দেখা গিয়েছিল তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদেরও। বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের আর্জি জানিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, বাংলায় করোনা পরিস্থিতির বাড়বাড়ন্তের মাঝেই নির্বাচনী প্রচারে রাশ টানতে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছিল নির্বাচন কমিশন। অতিমারী পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল যে, পাঁচশোর বেশি মানুষ নিয়ে জমায়েত করা যাবে না প্রচারসভায়। তবে সেই নির্দেশিকাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েই মালদার বৈষ্ণবগড়ে জমিয়ে ভোটপ্রচার করে এসেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। বিনোদুনিয়ার সুপারস্টারকে দেখতে এদিন প্রচারসভায় উপচে পড়েছিল জনতার ঢল। অতঃপর কোভিড বিধি মানার বালাই নেই। সামাজিক দূরত্বও শিকেয়! মাস্কহীন মুখের ভীড়। ফলস্বরূপ, মোদীর তারকা সেনাপতির বিরুদ্ধে উঠেছে বিধিভঙ্গের অভিযোগও। যার জেরে, উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলাশাসকের তরফে।