অ্যাপেই ভুবন-ভরা! পোশাক-আশাক, ক্যাবের পর এখন খাবারও মিলছে অ্যাপেই। তাই বিভিন্ন অ্যাপের মাধ্যমে, ইদানীং অনলাইনেই খাবারের অর্ডারে মেতেছে বাঙালি।
আবার সেই অর্ডার করা খাবার পৌঁছে দিতেই দিনিরাত পিঠে খাবারের ঝোলা নিয়ে বাইকে বা স্কুটিতে চেপে ঘুরে বেড়াচ্ছে ডেলিভারি বয়েরা। ফলে নতুন এই ব্যবস্থায় একদিকে যেমন খুব সহজে বিভিন্ন রকম খাবার চেখে দেখার সুযোগ রয়েছে, অন্যদিকে কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হয়েছে।
এই অ্যাপ–নির্ভর খাবার সরবরাহ পরিষেবা পাওয়া যায় প্রায় ২৪ ঘন্টাই। তবে তা নির্ভর করছে কোন দোকান এবং এলাকা থেকে খাবার অর্ডার করা হচ্ছে তার ওপর। ফুডপান্ডা, জোম্যাটো, সুইগি, উবের ইটস— এমনই অজস্র খাবার অর্ডারের অ্যাপ রয়েছে। সেখান থেকে নিজের পছন্দমতো খাবার বলে দিলেই হল। অনলাইন এবং নগদ— দু’ভাবেই টাকা মেটানোর ব্যবস্থা রয়েছে।
অ্যাপ–নির্ভর খাবার সরবরাহকারী সংস্থাগুলি নিজেরা রান্না করে না। তবে তাদের সরবরাহ করা খাবারের মান যাতে ঠিকঠাক থাকে সে–ব্যাপারে সতর্ক। এই অ্যাপ সংস্থার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হতে গেলে হোটেল, রেস্তোরাঁগুলির এফএসএসএআইয়ের লাইসেন্স থাকতে হবে, জিএসটি নম্বর বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া নিয়ম মেনে ব্যবসা করতে যা যা নথিপত্র দরকার তা–ও লাগবে।
খাবার সরবরাহ সংস্থাগুলির আয় হয় রেস্তোরাঁর খাবার গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দিয়েই। কারণ এ কাজ করে তারা কমিশন পায়। কারণ তাদের সাহায্যে সংশ্লিষ্ট হোটেল, রেস্তোরাঁ নিজেদের গ্রাহক তো ধরে রাখছেই। পাশাপাশি, যারা ব্যস্ততার কারণে বাড়ি বা অফিস থেকে বেরাতে পারছেন না, তাঁরাও এই অ্যাপের মাধ্যমে খাবার এনে খেতে চাইছেন। ফলে বিক্রি আরও বাড়ছে।
চা থেকে বিরিয়ানি, মোগলাই থেকে পায়েস— কী নেই? সবই পাওয়া যাবে অ্যাপে ক্লিক করলেই। রয়েছে বাঙালির হরেক রকম মুখরোচক চপও। বাঙালি খাবার খুঁজলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে পালং খিচুড়ি ১৬০ টাকা, বেকড খিচুড়ি ২০০ টাকা, পায়েস ৬০ টাকা, ফিরনি ৭০ টাকা। এমনকি ৩৫ টাকায় ৬টি বেগুনি, ৪০ টাকায় ৫টি পেঁয়াজি বা ৪টি ভেজিটেবল কাটলেটও পেয়ে যেতে পারেন বাড়ি বসেই।
এই খাবার অ্যাপগুলি খুলে দিয়েছে পেশার নতুন দিক। বাইকে চড়ে খাবার পৌঁছে দিয়ে ভাল অর্থ উপার্জন করছেন কর্মীরা। কতদূর এবং কতগুলি অর্ডার পৌঁছচ্ছেন, তার ওপর নির্ভর করছে আয়ের পরিমাণ। তবে এক্ষেত্রে নিজস্ব বাইক থাকাটা আবশ্যিক।