বাংলার ভোটের প্রচার শেষ। আর নবান্ন দখলের যুদ্ধে গোটা প্রচারপর্বটাই কার্যত হুইল চেয়ারে কাটালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘সোনার বাংলা’র স্বপ্ন দেখিয়ে একদিকে বিজেপি যখন ২০০ আসনের দাবি করে চলেছে এখনও, আর মমতার দাবি দুই তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে ক্ষমতা ধরে রাখছেন তিনিই। রঙ্গে ভরা বঙ্গ ভোটের শেষদিনেও সেই দাবিতেই অনড় থাকলেন ‘অগ্নিকন্যা’। বলে দিলেন, ‘মা মাটি মানুষের সরকার সম্পূর্ণ মেজরিটি নিয়ে জিতবে!’ শুধু তাই নয়, তাঁর দল থেকে যে সমস্ত ‘গদ্দার’, ‘মীরজাফর’রা বিজেপি-তে নাম লিখিয়েছেন, ক্ষমতার আসার পর তিনি যে আর তাঁদের জন্য দলের দরজা খুলবেন না, তাও এদিন স্পষ্ট করে দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। মিনার্ভা থিয়েটারের ভার্চুয়াল সভা থেকে তিনি বলেন, ‘সবাইকে ক্ষমা করতে পারি। কিন্তু গদ্দারদের ক্ষমা করব না।’
এদিনই চলছে ভবানীপুরের ভোট। নিজের কেন্দ্র ছেড়ে এবার নন্দীগ্রামে লড়তে গিয়েছেন মমতা। বিপক্ষে তাঁরই একদা সেনাপতি শুভেন্দু অধিকারী। সেই সঙ্গে গোটা ভারতবর্ষের বিজেপির সর্বশক্তি। তা সত্ত্বেও মমতার দাবি, ‘আমিই এক সময় বলেছিলাম বদলা নয়, বদল চাই। কিন্তু এখন আমি বলছি বদল নয়। কারণ আমাদের সরকারই থাকছে ক্ষমতায়। তবে বিজেপির সঙ্গে কী করতে হবে, সেটা আমরা দেখে নেব। আমি আজ বলে রাখছি, মা মাটি মানুষের সরকার একাই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে সরকার গড়বে।’
আর নন্দীগ্রাম? শুভেন্দুর নাম না করেও মমতার তির, ‘নন্দীগ্রামে ১০টা বুথে ওরা রিগিং করেছে। তাই ওই দশটা বুথেই শুধু ফল খারাপ হতে পারে। কিন্তু বাকি সব বুথে ধপাস ধপাস করে পড়বে ওরা।’ যদিও শুভেন্দুর দাবি, তিনি দুপুর দুটোর মধ্যেই ‘খেলা’ শেষ করে দিয়েছেন।
করোনা পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়েও এদিন সুর চড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। নির্বাচন কমিশনের কাছে আর্জির ঢঙে তিনি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনী এখানে এসে জায়গা দখল করে রেখে দিয়েছে। তিন মাস ধরে ওদের এখানে এনে জায়গা ভরিয়ে রেখেছে বিজেপি। ওদের জন্য এই করোনার মধ্যেও সেফ হাউস করতে পারছি না। কমিশনকে অনুরোধ করছি, দয়া করে এদের নিয়ে যান।’