বিধানসভা ভোটের আগে কয়লা কেলেঙ্কারি, গরু পাচারকাণ্ডের মতো ঘটনায় নাম জড়িয়েছে একাধিক নেতামন্ত্রীর। কয়লা-কাণ্ডে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা-কে জেরাও করে গিয়েছে তদন্তকারী সংস্থার কর্তারা। যদিও সেইসময় রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছিল তৃণমূল। এবার গরু পাচারকাণ্ডে নাম জড়াল বীরভূমে তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের। আগামী বৃহস্পতিবার, ২৯ তারিখ শেষ দফায় নির্বাচন রয়েছে বীরভূমে। তার আগেই এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতাকে তলব করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। মঙ্গলবার নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে।
তবে ঠিক কী কারণে তাঁকে ডাকা হয়েছে, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। তবে গরু পাচারকাণ্ড নিয়ে তদন্ত চলাকালীন অনুব্রতর নাম উঠে আসাতেই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর মিলেছে। সূত্রের খবর, অনুব্রতর সঙ্গে তাঁর এক সহযোগীকেও ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যদিও তৃণমূলের তরফে এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে বীরভূমে অনুব্রতর দাপট কারও অজানা নয়। ভোটের গুরুদায়িত্ব তাঁর কাঁধেই দিয়েছে দল। তাই অনুব্রতকে তলবের পিছনে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে মত জোড়াফুল শিবিরের।
তাদের দাবি, শনিবার বোলপুরে দাঁড়িয়ে নাম না করে অনুব্রতকে জেলে ঢোকানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে গিয়েছিলেন স্মৃতি ইরানি। তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের এই সক্রিয়তার যোগ রয়েছে। ভোটের আগে তাঁর ভরসার এবং সাধের কেষ্টকে নজরবন্দি করার চেষ্টা চলছে বলে সম্প্রতি বোলপুরে গিয়ে মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘বীরভূমে কেষ্টর উপর ওদের খুব রাগ। তাই প্রতিবার নির্বাচনের সময় কেষ্টকে নজরবন্দি করে। এভাবে নজরবন্দি অবৈধ এবং অপরাধমূলক কাজ। এ বার যদি নজরবন্দি করে, কেষ্ট আদালতে যাবে।’’