করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিয়ে সভা করায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু কমিশনের নির্দেশিকার পরেও দূরত্ববিধির তোয়াক্কা না করে মালদার বৈষ্ণবনগরে মিঠুন চক্রবর্তীর সভায় ভিড় করলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। এই ঘটনায় উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসকের।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই প্রধান বিচারপতি টি বি এন রাধাকৃষ্ণন এবং বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ নির্বাচন কমিশনের উদ্দেশে অত্যন্ত কড়া পর্যবেক্ষণে বলেছিল, নির্বাচন কমিশনের চূড়ান্ত ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু, তার কোনও ব্যবহার নেই। একটা সার্কুলার দিয়ে, জনগণের ওপর সব ছেড়ে দিয়েছে কমিশন। আপনাদের (কমিশনের) সব রয়েছে, পুলিশ রয়েছে, অফিসার রয়েছে, তা-ও কোনও কাজ করছেন না। ক্যুইক রেসপন্স টিম ব্যবহার করছেন না কেন? আপনাদের কাজে আমরা অসন্তুষ্ট। কমিশনের কাছ থেকে সার্কুলার চাই না, পদক্ষেপ চাই।
হাইকোর্টের ভর্ৎসনার পরই নড়েচড়ে বসে সেদিন সন্ধ্যায় বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করে নির্বাচন কমিশন। এরপর রাতে সভা-সমিতি-রোড শো বন্ধ করতে পদক্ষেপ করে নির্বাচন কমিশন। তারা জানিয়ে দেয়, আর রোড শো, পদযাত্রা করা যাবে না। সাইকেল, বাইক, গাড়ি নিয়ে কোনও র্যালিরও অনুমতি দেওয়া হবে না। সাইকেল, বাইক কিংবা গাড়ির র্যালির জন্য আগাম অনুমতি নেওয়া হয়ে থাকলে, তা বাতিল করা হবে। জনসভার জন্য নেওয়া আগাম অনুমতিও বাতিল। পর্যাপ্ত জায়গা থাকলে এবং সোশাল ডিস্ট্যান্সিং-সহ যাবতীয় কোভিড বিধি মানা সম্ভব হলে, তবেই সর্বোচ্চ ৫০০ জনকে নিয়ে সভার অনুমতি দেওয়া হবে।
কিন্তু কমিশনের এ হেন নির্দেশিকার পরেও দূরত্ববিধির তোয়াক্কা না করে মিঠুনকে দেখতে এদিন উপচে পড়া ভিড় হয় বিজেপির সভায়। এই নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ৫০০-র বেশি লোকের জমায়েত হয়েছে। এর ফলে একদিকে নির্বাচনী বিধি, অন্যদিতে কোভিড-বিধি ভঙ্গ হয়েছে। মিঠুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি জানানো হবে। একইসঙ্গে বিজেপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণের আর্জি জানানো হবে।