অনুব্রত মণ্ডলকে নজরবন্দি করার ঘটনা ঘটেছে একাধিক বার। এবার সেই অনুব্রতকে পাশে বসিয়ে অভয় দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার বীরভূমে ভার্চুয়াল সভায় তিনি অনুব্রত ওরফে কেষ্টাকে বললেন, ‘এবার যদি নজরন্দি করা হয় তাহলে কোর্টে যাবি।’
বীরভূমের বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে ভোট বাকি আছে এখনও। তাই তার আগে সেখানকার প্রার্থীদের জন্য এ দিন সভায় উপস্থত ছিলেন মমতা। এ দিন মূলত কমিশনের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। তাঁর অভিযোগ, ‘ভোটের আগে অবৈধভাবে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের। এ ভাবে আদলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ তৃণমূল নেত্রীর। শুধু অনুব্রতই নয়, সব তৃণমূল নেতা-কর্মীদের এই বিষয়ে সতর্ক হতে বলেন মমতা।
এ দিন তিনি বলেন, ‘করোনার পাশাপাশি এই বিষয়েও এখন থেকে সতর্ক হোন। অবৈধভাবে আটক করলে কর্মীর ছেলেমেয়েরা থানা ঘেরাও করুন। কেন অবৈধভাবে আটক করা হল, তার ব্যাখ্যা চাইবেন। দরকার হলে কোর্টে যেতে হবে। হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্ট সব জায়গায় যাব আমরা।’ প্রয়োজনে এফাইআর করার পরামর্শ দেন মমতা। তিনি বলেন, ‘দরকার হলে আটক করলে এফআইআর করুন।’ সেই সঙ্গে কেষ্টাকেও দিলেন অভয়। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনের আগে উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য অনুব্রতকে নজরবন্দি করেছিল নির্বাচন কমিশন। তাঁর মোবাইল ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। বাড়িতে বসে থাকতে হয়েছিল তাঁকে।
এ দিকে শনিবার বীরভূমে ভার্চুয়াল সভায় বসে একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের হাতে তুলে দিয়েছেন কমিশনের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের প্রিন্ট আউট। তাঁর দাবি এমন কিছু হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট তার হাতে এসেছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে কমিশনের পুলিশ পর্যবেক্ষক ও বিশেষ পর্যবেক্ষকেরা ‘তৃণমূলের গুন্ডা’, ‘ট্রাবল মঙ্গার’ ইত্যাদি শব্দ ব্যবহার করছেন। পরিকল্পনা করে ভোটের আগে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের আটক করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।