দেশে আছড়ে পড়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। আর তার জেরে প্রতিদিন ঝড়ের গতিতে বাড়ছে দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় নতুন নজির গড়েছে ভারত। লম্বা হচ্ছে মৃত্যু মিছিলও। এই পরিস্থিতিতে যত তীব্র হচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, ততই সেখানে বাড়ছে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার। দিল্লী বা মহারাষ্ট্রের মতো না হলেও এ রাজ্যে তথা শহরেও মাথা চাড়া দিতে শুরু করেছে অক্সিজেন সঙ্কট। বাজারে অক্সিজেন সিলিন্ডারের জোগান প্রায় নেই বললেই চলে। যদি অবিলম্বে পদক্ষেপ না করা হয় সেক্ষেত্রে দিল্লী বা মহারাষ্ট্রের মতো পরিস্থিতি হতেও বেশি সময় লাগবে না। এদিন এ নিয়ে মুখ খুলে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানালেন, কমিশনের কারণেই তিনি এ বার কাজ করতে পারছেন না। বিজেপির কথায় কমিশন তাঁর ‘হাত বেঁধে দিয়েছে’ বলে দাবি করেন প্রাক্তন মেয়র ফিরহাদ হাকিম।
এদিন শহরে অক্সিজেনের ঘাটতি নিয়ে ফিরহাদ বলেন, ‘আমার হাত নির্বাচন কমিশন বেঁধে দিয়েছে। আগেরবার আমি অনেক কাজই করেছিলাম। কিন্তু এ বার আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর আমি ছিলাম মানুষেকে পরিষেবা দেওয়ার জন্য। সেই জায়গাটা আটকে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। বস্তিতে বস্তিতে মানুষের জ্বর, অনেকের শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। কে নিয়ে যাবে হাসপাতালে? কোথায় করোনা হচ্ছে, কোথায় স্যানিটাইজ করতে হবে, এগুলো কে দেখবে নির্বাচন কমিশন? আমার হাত আটকে দিয়েছে কারণ বিজেপি চেয়েছে।’ অন্যদিকে, আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভার্চুয়াল সভা নিয়ে ফিরহাদের কটাক্ষ, ‘চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। করোনা যখন বাড়ছিল তখন উনি এসে মিটিং মিছিল করলেন, রাজ্য দখলে ব্যস্ত ছিলেন। আর এখন উনি করোনা নিয়ে মিটিং করছেন।’