দেশজুড়ে করোনার লাগামছাড়া সংক্রমণ বাড়ছে। আতঙ্কে মানুষ। দিশেহারা হচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তার মাঝেই আকাল দেখা দিয়েছে করোনার ভ্যাকসিনের। একাধিক রাজ্যে লম্বা লাইন দিয়েও ভ্যাকসিন পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ ঢাকঢোল পিটিয়ে কেন্দ্র জানাচ্ছে, গোটা দেশে তারা নাকি ১২ কোটি মানুষকে করোনার ভ্যাকসিন দিয়েছেন। এই ভ্যাকসিনের আকালের মাঝেই প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর খবর। করোনার টিকার সংকটের মাঝেই ১৭০০ ডোজ ভ্যাকসিন চুরি হয়েছে এই বিজেপিশাসিত হরিয়ানায়।
প্রসঙ্গত, হরিয়ানার জিন্দে এক সরকারি হাসপাতাল থেকে করোনার প্রতিষেধকের ১৭০০ ডোজ চুরি হয়েছে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। জিন্দের এক সরকারি হাসপাতালে গত বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন। ‘কোভিশিল্ড’-এর ১২৭০ ডোজ ও ‘কোভ্যাক্সিন’-এর ৪৪০ ডোজ চুরি গিয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। ঘটনার তদন্তে নেমেছেন সিভিল লাইন এলাকার পুলিশ আধিকারিকেরা। তারা জানিয়েছেন, “চোর শুধুমাত্র করোনার ভ্যাকসিন চুরি করেছে। বাকি কোনও ওষুধ কিংবা টিকা চুরি করেনি।”
উল্লেখ্য, আজ সকালে এক সাফাইকর্মী হাসপাতালের ভ্যাকসিন রাখার ঘরে গিয়ে দেখেন ফ্রিজারের ঢাকনা খোলা ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ভ্যাকসিনের ভায়াল গুলি। তারপরেই বিস্তারিত তথ্য নিজের উর্দ্ধতন কর্ত্বপক্ষকে জানায় ওই সাফাইকর্মী। তারপরে থানায় খবর দেওয়া হলে তদন্ত শুরু হয়। যদিও ওই হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, পর্যাপ্ত ভ্যাকসিনের ডোজ রয়েছে। চিন্তা করার কোনও কারণ নেই। আজ বিকেলের মধ্যেই অতিরিক্ত ৬০০০ ‘কোভিশিল্ড’ ও ১০০০ ‘কোভ্যাক্সিন’-এর ডোজ চলে আসবে হাসপাতালে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে এক সরকারি হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে এত বড় কাণ্ড ঘটিয়ে গেল দুষ্কৃতীরা। আর এই ঘটনায় কোনও হেলদোল নেই ওই হাসপাতালের সুপারের। কাজেই উঠছে বিতর্ক।