নির্বাচনের আগে বীরভূমের পুলিশ সুপার সহ চার অফিসারকে বদলি করছে কমিশন। ষষ্ঠ দফা ভোটের ৪৮ ঘন্টা আগে কমিশনের এই কাজের তীব্ৰ নিন্দা করে সাংবাদিক বৈঠকে কমিশনকে পক্ষপাতদুষ্ট বলে কটাক্ষ করল তৃণমূল। এদিন তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন দলের রাজ্যসভা সাংসদ ডেরেক ও’ ব্রায়েন এবং সুখেন্দু শেখর রায়।
পাশাপাশি, এদিন শীতলকুচির ঘটনাকেও পূর্বপরিকল্পিত বলে অভিহিত করেন সুখেন্দু বাবু। ইন্ডিয়ান পেনাল কোর্টের ৯৯ অনুচ্ছেদের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “সেখানে লেখা আছে আত্মরক্ষার জন্যে কোন পদক্ষেপ নিলেও সেক্ষেত্রেও দেখতে হবে যার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাঁর যেন সবচেয়ে কম ক্ষতি হয়। কিন্তু এখানে কোন প্ররোচনা ছাড়াই চার জনকে খুন করা হল।” তিনি আরও বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক ২০১১ সালে নিয়ম করে, স্বশস্ত্র বাহিনী কাউকে গুলি চালাতে পারবে না। চালালেও কোমরের নীচে চালাতে হবে। তার মানে এক্ষেত্রে পেনাল কোর্ট, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সব নিয়মকেই উপেক্ষা করা হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নিয়ে সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, “কোন তদন্ত ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী কী করে বললেন আত্মরক্ষায় গুলি চালানো হয়েছে! এরপর সাংবাদিক বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর আসানসোলের ভাষণের সাথে একটি ভিডিও চালানো হয়। যেখানে শুধু থরে থরে লাশ দেখা যাচ্ছে। চিতা জ্বলছে। ঘটনাটি গুজরাটের। আর প্রধানমন্ত্রী ভাষণে বলছেন, “কত লোক, এতলোক যে আমি শুধু মাথা দেখতে পাচ্ছি।” সাংসদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী জনসভার লোক দেখতে পাচ্ছেন। আর বিজেপি শাসিত এই রাজ্যের মৃত্যু মিছিল দেখতে পাচ্ছেন না। এতো লোক মারা যাচ্ছে যে শ্মশান হাউজফুল হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ভ্রূক্ষেপ নেই।” এরপর সাংসদ করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলি তুলে ধরেন।