একে রাজ্যে চলছে ৮ দফা ভোটপর্ব। অন্যদিকে, রাজ্যে আছড়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ।পরিস্থিতি ক্রমশই ভয়াবহ হতে থাকায় অত্যন্য গুরুত্ব সহকারে এর মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্য সরকার। সোমবার মালদহ থেকে জরুরি সাংবাদিক বৈঠক করে তা নিয়ে একগুচ্ছ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যবাসীকে অভয়বাণী দিয়ে বললেন, ‘করোনা মোকাবিলায় রাজ্য সরকার সবরকমভাবে প্রস্তুত। টাস্ক ফোর্স তৈরি হয়েছে। আতঙ্কিত হবেন না। সচেতন থাকুন’। জানালেন, এই মুহূর্তে রাজ্যের ২০০০ করোনা রোগীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রাজ্যের নয়া স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নিয়ে তিনি জানালেন, দ্রুত রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিতে ৪৫০০ কোভিড বেড বাড়ানো হবে। মোট ২০০টি সেফ হোমে ১১০০ বেডের ব্যবস্থা করা হয়েছে। হোটেলগুলিতেও সেফ হোমের পরিকাঠামো তৈরি করা হবে। রাজ্যে ৪০০টি করোনা অ্যাম্বুুল্যান্সও চালু হতে চলেছে বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্বিতীয়বার মারণ ভাইরাসের আছড়ে পড়া ঢেউ আরও ভয়াবহ। তা মানছেন মুখ্যমন্ত্রীও। তাই এবার আরও বেশি সচেতন রাজ্য সরকার। আর মুখ্যমন্ত্রীর আত্মবিশ্বাসী বক্তব্য, ‘আগেরবার সামলেছি, এবারও সামলাব’। সরকারি অফিসগুলিতে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ চলবে, বাকি ৫০ শতাংশ ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর পক্ষে সওয়াল করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মেনে নিলেন, ভোটের জন্য কিছু সমস্যা হচ্ছে কাজ করতে। এ প্রসঙ্গে ফের উল্লেখ করলেন, মহামারী পরিস্থিতিতে রাজ্যে এত দফায় ভোট করানো কমিশনের ঠিক হয়নি।
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কা সামলাতে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি রাজ্যে নাইট কারফিউ চালু হয়েছে। তাহলে বঙ্গেও রাত্রিকালীন কারফিউ জারি হবে? এই প্রশ্নের উত্তরে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানালেন, ‘না, নাইট কার্ফিউ জারির প্রশ্ন নেই। আমি মনে করি না, ওটা কোনও সমাধান। সমাধান স্রেফ মানুষের সচেতনতা’। রাজ্যে করোনা টিকার ঘাটতির কথা মেনে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ফের অভিযোগের সুরে জানালেন, কেন্দ্রের কাছে বারবার ভ্যাকসিন চেয়েও মেলেনি। জানালেন, প্রধানমন্ত্রীকে তিনি আবার চিঠি লিখেছেন এ বিষয়ে। তবে তার এখনও জবাব মেলেনি বলে কার্যত ক্ষোভপ্রকাশও করলেন।