আগামী ১৩ মে অর্থাৎ যেদিন ইদ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, সেদিনই মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্র সামশেরগঞ্জ এবং জঙ্গিপুরের নির্বাচনের দিন ধার্য করেছে নির্বাচন কমিশন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও এনিয়ে শোনা গেল অসন্তোষের সুর।
সোমবার কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যকে আশ্বস্ত করেন তৃণমূল নেত্রী। সেখানেই উঠে আসে দুই কেন্দ্রে নির্বাচনের প্রসঙ্গ। ইদের দিন নির্বাচনের দিন ধার্য হওয়ায় ক্ষুব্ধ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বহু মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোট বয়কটের হুমকিও দিচ্ছেন কেউ কেউ। এ নিয়ে অসন্তুষ্ট মমতা বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের কাছেও নিশ্চয়ই ক্যালেন্ডার আছে। আমি আর কী বলব বলুন। তবে আমরা এ ব্যাপারে চিঠি দেব। এখন নয়। সময় মতো চিঠি দেওয়া হবে কমিশনকে’।
২৬ এপ্রিল অর্থাৎ সপ্তম দফায় সামশেরগঞ্জ আসনে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গত ১৫ এপ্রিল ওই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী রেজাউল হক করোনায় প্রয়াত হন। কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যুতে নিয়ম মেনে বাতিল করতে হয় সামশেরগঞ্জ কেন্দ্রের নির্বাচন। অন্যদিকে, জঙ্গিপুর কেন্দ্রেও ২৬ এপ্রিলই ভোট হওয়ার কথা ছিল। এই কেন্দ্রেও থাবা বসায় করোনা। ১৬ এপ্রিল মৃত্যু হয় এই কেন্দ্রের সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী তথা আরএসপির লোকাল কমিটির সম্পাদক প্রদীপ নন্দীর। যথারীতি ওই কেন্দ্রেও ভোট পিছিয়ে দিতে হয়। সোমবার কমিশনের তরফে দুটি পৃথক বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, আগামী ১৩ মে ওই দুই কেন্দ্রে নির্বাচন। ভোটগণনা আগামী ১৮ মে। কিন্তু ভোটের দিন ঘোষণা হতেই স্থানীয়দের একাংশ কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।