নোটবন্দীর পর চিঠি গিয়েছিল। লকডাউনের পর গিয়েছিল। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে যখন গোটা দেশ থরহরি কম্পমান। তখনও বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন তাঁর পূর্বসূরি মনমোহন সিং। কীভাবে এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হবে? তা নিয়ে মোদীকে একগুচ্ছ পরামর্শ দিলেন মনমোহন। জানিয়ে দিলেন, দেশে টিকাকরণের প্রক্রিয়ায় প্রয়োজন আরও স্বচ্ছতা। আরও বেশি পরিকল্পিতভাবে এগোতে হবে সরকার।
মোদীকে লেখা চিঠিতে মনমোহনের পরামর্শ, ‘ভ্যাকসিনের যোগান বাড়াতে বাজারে কোভিশিল্ড-কোভ্যাকসিন বাদ দিয়ে অন্য সংস্থার ভ্যাকসিনও আনতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনও বিশ্বাসযোগ্য সংস্থাকে ছাড়পত্র দিলেই চলবে। দেশব্যপী ভ্যাকসিনের বণ্টন যাতে ঠিকভাবে হয়, তাতেও জোর দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। ভ্যাকসিন বণ্টনের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলির চাহিদাকেই প্রাধান্য দেওয়ার কথা বলেছেন মনমোহন। সেক্ষেত্রে তাঁর পরামর্শ, সরকারের কাছে যত ভ্যাকসিনের ডোজ মজুত থাকবে, তার ১০ শতাংশ জরুরিভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য রেখে বাকিটা রাজ্যগুলির মধ্যে বিতরণ করে দেওয়া উচিত’।
প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর আরও পরামর্শ, কারা প্রথম সারির যোদ্ধা হবেন, সেটা নির্ধারণের ক্ষেত্রে রাজ্যগুলিকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। সেক্ষেত্রে স্কুল শিক্ষক, ট্যাক্সি চালকরাও যাতে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা হিসেবে ভ্যাকসিনের ডোজ নিতে পারেন, সেই অনুরোধও চিঠিতে করেছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর মতে, বয়স ৪৫ বছরের কম হলেও সামনের সারির কর্মীদের করোনার টিকা দেওয়া উচিত। ভ্যাকসিন নির্মাতা সংস্থা যাতে আরও বেশি করে ভ্যাকসিন প্রস্তুত করতে পারে, সেজন্য যেন সরকারের তরফে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। মনমোহন বলছেন, ‘আগামী ৬ মাসে আমরা কতজনকে টিকা দিতে চাই, তার একটা লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা উচিৎ। সেই লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নির্মাণকারী সংস্থাগুলিকে আগে থেকে অর্ডার দেওয়া উচিৎ’।