রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ও কেন্দ্রের পারস্পরিক বিবাদ মিটিয়ে ফেলা উচিত। এই পরামর্শ দিল ইন্টারন্যাশানাল মানিটারি ফান্ড (আইএমএফ)। তবে সেটা কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের স্বাধীনতার সঙ্গে সমঝোতা করে নয়। বিভিন্ন দেশে মুখ্য ব্যাঙ্কগুলির স্বাধীনতা বজায় রেখেই তা করা হয় বলে জানিয়ে দিয়েছে তারা।
আইএমএফ সংস্থার ডিরেক্টর অফ কমিউনিকেশনস গেরি রাইস বলেন, ‘আমরা এই পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। আর তা চালিয়ে যাবো। আমরা সমর্থন করি দায়িত্ববোধের ওপর। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের স্বাধীনতা ও আর্থিক বিষয়ের নজরদারিতে সরকার বা শিল্প সংস্থার এমন কোনও হস্তক্ষেপ করা উচিত নয় যা সেই স্বাধীনতাকে খর্ব করে। এটাই আন্তর্জাতিক ভেবে মেনে চলার মতো সবচেয়ে সেরা নীতি।’
সাম্প্রতিক এই বিবাদের কেন্দ্রে রয়েছে আরবিআই-কে পাঠানো কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের চিঠি। চিঠিগুলি লেখা হয়েছে আরবিআই আইনের ৭ নম্বর ধারায়। এই ধারায় জনস্বার্থে আরবিআইকে কোনও কাজ করার নির্দেশ দিতে পারে কেন্দ্র। জানা গেছে, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের অনাদায়ী ঋণ-সংকট মেটাতে, নগদের টানাটানি দূর করতে নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক সংস্থাগুলিকে আরও ঋণ বিলির ব্যবস্থা নিতে ও বিদ্যুৎক্ষেত্রে অনাদায়ী ঋণ মেটানোর জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নিয়ন্ত্রণ শিথিল করার কথা বলা হয়েছিল।
তবে হঠাৎ আরবিআইকে ৭ নম্বর ধারায় নির্দেশ পাঠানোর কারণ, ৫ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে পেট্রোল-ডিজেলের দাম ক্রমশ বাড়তে থাকায় চাপে বিজেপি। কয়েক মাসের মধ্যেই লোকসভা ভোট। তাই এবার নিজেদের ভাবমূর্তি পুনরুদ্ধারে মরিয়া হয়ে উঠেছে মোদী সরকার।