দেখতে দেখতে ৫ মাস হয়ে গিয়েছে। এই মুহূর্তে গরম পড়ে গিয়েছে দিল্লী সীমান্তে। নভেম্বরে যখন কৃষকদের বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, তখন তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি ছিল। এখন তা ৩০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও বিতর্কিত তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে কৃষকদের অবস্থান আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। শুধু তাই নয়। দিল্লীর সঙ্গে সঙ্গে হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশের সীমান্তে গত নভেম্বর থেকেই অবস্থান বিক্ষোভে হাজার-হাজার কৃষক। কেন্দ্রের নয়া কৃষি বিলের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। কোর্টের একাধিক নির্দেশ সত্ত্বেও এখনও ফাঁকা হয়নি রাস্তা। অবরোধ চলছে দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত। শুধুমাত্র গাজীপুর ক্রসিং পয়েন্টের একটি লেন শুধুমাত্র মালবাহী গাড়ি চলাচলাচলের জন্য খোলা রাখা হয়েছে বলে খবর।
এদিকে কৃষক আন্দোলনের অন্যতম প্রধান নেতা রাকেশ টিকাইত আবার ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ উগড়ে দেন। শনিবার রাকেশ বলেন, ২২ জানুয়ারির পর থেকে দ্বিপাক্ষিক স্তরে কোন আলোচনা হয়নি। কৃষকদের ঘোষিত দাবির কোন পরিবর্তন হয়নি। সংযুক্ত কৃষক মোর্চা সরকারি তরফে আমন্ত্রণ পেলে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত। এই সংযুক্ত কৃষক মোর্চার ছাতার তলায় সিঙ্ঘু, টিকরি আর গাজিপুর সীমান্তে প্রায় চার মাস ধরে অবস্থান বিক্ষোভ করছে সহস্রাধিক কৃষক। অন্যদিকে, জনসাধারণের সমস্যা সৃষ্টি করে দীর্ঘদিন রাস্তা আটকে রাখা যাবে না। শুক্রবার কৃষক আন্দোলনের বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে স্পষ্ট জানিয়ে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে ব্যাপক চাপানৌতর।
এ বিষয়ে মামলা করেন এক মহিলা। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর আগে নয়ডা থেকে দিল্লি অফিস যাতায়াতে মাত্র ২০ মিনিট সময় লাগত। কিন্তু ঘুরপথে যাওয়ায় এখন তা ২ ঘণ্টার বেশি সময় লাগছে বলে দাবি করেন তিনি। আবার, দিল্লী পুলিশ বর্তমানে ভোগান্তি এড়াতে যাত্রীদের আনন্দ বিহার, ডিএনডি, লোনি ডিএনডি এবং অপ্সরা সীমান্ত দিয়ে যেতে বলেছে। জানুয়ারীর শেষ অবধি বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে বন্ধ থাকার পরে দিল্লি-নয়ডা চিল্লা সীমান্তের উভয় লেনই খুলে দেওয়া হয়। এদিকে আউচান্দি, পিয়াউ মানিয়ারি, এবং সাবোলি ও মঙ্গেশ সীমান্ত পেরিয়ে দিল্লি ও হরিয়ানার মধ্যে বেশ কয়েকটি অন্যান্য প্রবেশ ও প্রস্থান পথ পুরোপুরি বা আংশিকভাবে এখনও বন্ধ রয়েছে। যদিও লামপুর, সাফিয়াবাদ সর্বক্ষণই খোলা রয়েছে। এদিকে প্রায় ৫ মাসের কাছাকাছি সময় ধরে দিল্লী বর্ডারে কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে বসে আছেন প্রতিবাদী চাষিরা।