মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আজ, মঙ্গলবার কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে স্বভাবতই সরব হয়েছেন শাসক দলের নেতারা৷ এবার তৃণমূলের তরফ থেকে টুইটে প্রশ্ন তোলা হল, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চাপালে কেন একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য করার জন্য বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে না’?
প্রসঙ্গত, শীতলকুচির ঘটনার পর রাজ্য বিজেপি-র তিন নেতা বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন বলে অভিযোগ৷ সেই তালিকায় রয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, হাবড়ার প্রার্থী রাহুল সিনহা এবং বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু৷ এ ছাড়াও নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারের সময় শুভেন্দু অধিকারীও আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে অভিযোগ শাসক দলের৷ এই সমস্ত মন্তব্য তুলে ধরেই টুইট করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে৷ সেখানে অভিযোগ করা হয়েছে, বিজেপি নেতারা ‘জাতি বিদ্বেষী’, ‘ধর্ম বিদ্বেষী’, ‘বর্ণ বিদ্বেষী’ মন্তব্য করলেও তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করে না নির্বাচন কমিশন৷ শীতলকুচি কাণ্ড নিয়ে বিজেপি নেতাদের বিতর্কিত মন্তব্যের পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীর মুখে ‘মিনি পাকিস্তানের’ মতো মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয়েছে ওই ভিডিও-তে৷ এর পরেও কেন শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরে এই নিষেধাজ্ঞা, সেই প্রশ্নই তুলেছে শাসক দল৷ একই সঙ্গে দাবি করা হয়েছে, ‘গণতন্ত্রের জয় হবেই, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ফিরে আসবেনই৷ আর এই অগণতান্ত্রিক পদক্ষেপের উচিত জবাব দেবে বাংলার মানুষ৷’
গত ৭ এবং ৮ এপ্রিল তৃণমূলনেত্রীকে শো কজ করে দু’টি নোটিস পাঠিয়েছিল কমিশন৷ সেই নোটিসের জবাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাঠানো ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট না হয়েই মুখ্যমন্ত্রীর প্রচারে ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন৷ তাদের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রীর ওই বক্তব্য আদর্শ আচরণবিধির পরিপন্থী৷ কমিশনের নিষেধাজ্ঞাকে অগণতান্ত্রিক এবং অসাংবিধানিক বলে টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তৃণমূলনেত্রী৷ তবে নিষেধাজ্ঞা শেষ হলে মঙ্গলবার রাত থেকেই জোরকদমে প্রচার শুরু করে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার রাত ৮টার পর প্রথমে বারাসত এবং তার পরে বিধাননগরে সভা করবেন তিনি৷