ত্রিপুরায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও উপজাতি পরিষদের ভোটে সেখানে রীতিমতো পর্যুদস্ত হতে হল গেরুয়া শিবিরকে। পাঞ্জাব ও হিমাচল প্রদেশের পুর নির্বাচনে বড় ধাক্কার পরে এবার উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যেও ২৮টি আসনের মধ্যে মাত্র ৯টিতে জয়লাভ করল বিজেপি ও তাদের জোটসঙ্গী দলগুলি। অন্যদিকে সর্বোচ্চ ১৮টি আসন পেয়েছে নতুন এক দল টিপ্রা মথি। টিপ্রার প্রধান প্রদ্যুৎকিশোর দেববর্মন ত্রিপুরার রাজপরিবারের সদস্য। আগে তিনি ছিলেন সেই রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতি। কিন্তু গত সেপ্টেম্বরে নাগরিকত্ব আইনকে কেন্দ্র করে দলের সঙ্গে মতবিরোধ দেখা দেয় তাঁর। এরপরই কংগ্রেস ত্যাগ করে তিনি গড়ে তোলেন নতুন দল। এবার সেই দলই পেল সাফল্য।
উপজাতি পরিষদে মোট ৩০টি আসন রয়েছে। যার মধ্যে ২টি রাজ্যপালের বিবেচনাধীন। বাকি ২৮টির জন্যই হয় নির্বাচন। ৬ এপ্রিল ভোটগ্রহণের পর শনিবার ছিল তার গণনা। গণনায় দেখা যায় সিংহভাগ আসনই পেয়েছে টিপ্রা। তারা ও বিজেপির নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা’ জোটই অধিকাংশ আসন ভাগ করে নিয়েছে। বামফ্রন্ট কিংবা কংগ্রেস খাতাই খুলতে পারেনি। অবশিষ্ট একটি আসন পেয়েছেন নির্দল প্রার্থী।
এদিকে গত শুক্রবারই মোহনপুরে তাঁকে আক্রান্ত হতে হয়েছিল বলে অভিযোগ জানিয়েছেন প্রদ্যুৎকিশোর দেববর্মন। তাঁর অভিযোগ, মোহনপুরে সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেটের দফতরে তিনি ও টিপ্রা মথির আরও কয়েকজন নেতা গিয়েছিলেন। তখনই অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এই ধরনের ঘটনার কথা মেনে নিয়েছেন পশ্চিম ত্রিপুরার পুলিশ সুপার মানিকলাল দাস। তবে প্রদ্যুৎকিশোর দেববর্মনকে কেউ আক্রমণ করেছিল কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয় বলেই জানিয়েছিলেন তিনি।