টানা সভা রয়েছে উত্তর চব্বিশ পরগণায়। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন পড়ে রয়েছে শীতলকুচিতে যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে চারজনের। তাই বীজপুর, নৈহাটির সভা থেকে সে ব্যাপারেই টানা মুখ খুললেন। চারটি নিরীহ প্রাণের বলিতে ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেত্রী বাছাই বিশেষণে, তোপ দাগলেন নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে পথে নামার কথাও ভাবছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে, আজ বিকেলেই শিলিগুড়ি যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেল ৫টায় সার্কিট হাউসে সাংবাদিক বৈঠক করবেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সভার কিছুক্ষণ আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করেছেন কোচবিহারে। সেখানে শীতলকুচির ঘটনা দুঃখজনক বলেও নরেন্দ্র মোদি মনে করিয়ে দিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষকে কেন্দ্রীয় সেনাকে ঘেরাও করার কথা বলেছেন। মমতা সেই প্রসঙ্গের অবতারণা করে বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘটনাকে ক্লিনচিট দিয়ে গেলন মোদী। বললেন, গ্রামবাসীরাই আক্রমণ করতে এসেছিল। একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে মোদী বললেন গুলি চালিয়ে ঠিক করছে। কী করে বললেন উনি! আসলে বিজেপি এটাই করে। নিজেরা দোষ করে। তারপর তার দায় অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়’।
ক্রমেই সুর চড়ল বিজেপির বিরুদ্ধে। মমতার কথায়, ‘দেশের বাইরে বের করে দেওয়া উচিত। এমন একটা দল, যারা দেশটাকে শেষ করে দিয়েছে। ওরা ভারতের জঘন্য পার্টি’। শীতলকুচির প্রসঙ্গ থেকে সরলেন না মমতা। এর আগেই বনগাঁ দক্ষিণের সভায় অমিত শাহের পদত্যাগ দাবি করে এসেছেন। এই সভায়ও তীব্র আক্রমণ শানালেন। বললেন, ‘পাঁচটা লোককে গুলি করে মেরে দিলে। তারপর তোমরা সেটাকে জাস্টিফাই করছ গ্রামবাসীরা মারতে এসেছিল বলে।
তারপরও তুমি দেশের প্রধানমন্ত্রী থাকবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থাকবে’? এই জায়গা থেকেই দলীয় কর্মীদের মমতার নির্দেশ , আগামিকাল ১১ এপ্রিল বেলা ২টো থেকে ৪ টে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ চেয়ে কালো পতাকা লাগিয়ে, কালো ব্যাজ পরে পথে নামতে হবে।
এই সভা থেকেই মমতা জানিয়ে দিলেন, ‘আমি ওখানে যাব। স্পটে যাব। দেখব বিজেপির ঔদ্ধত্য কতদূর পৌঁছতে পারে’। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শীতলকুচির দিকে রওনা হয়ে গিয়েছেন।শীতলকুচির ঘটনায় নিহতদের পরিবার পরিজনের সঙ্গে দেখাও করবেন তিনি।