নির্বাচন কমিশন ঘেরাও মন্তব্যের জন্য নোটিশ পাঠিয়েছে। উত্তর চেয়েছে শনিবার সকাল ১১টার মধ্যে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিলেন, এসব নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দিহান নন তিনি। বর্ধমানের মাটিতে দাঁড়িয়ে তাঁর অঙ্গীকার, ‘এখানে একটা একটা করে সিট জিতব।’ কমিশন প্রসঙ্গে তাঁর উবাচ, ‘কমিশন যত কেস দেবে, আমি তত দীর্ঘজীবী হব।’
এ দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন সভাস্থলের পথে রওনা হচ্ছেন, তখনই জানা যায় তাঁর নন্দীগ্রামের কর্মী রবীন মান্না মারা গিয়েছেন এসএসকেএম-হাসপাতালে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ কয়েক দিন ধরেই আশঙ্কা করছিলেন, রবীন মান্নার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে। বয়ালে তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখাও করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নন্দীগ্রামের রবীন আজ মারা গিয়েছে। বিজেপি মেরেছে। পুলিশ যে মেরেছে তাকে গ্রেফতার করল না। মনে হচ্ছে যেন রাজ্যে ৩৫৬ ধারা জারি হয়ে গেছে’।
বেশ কয়েকদিন ধরেই তৃণমূল কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আনছে। তৃণমূলের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে বলা হয়েছে, ১৫০০ অভিযোগ করলেও সাড়া মিলেছে মাত্র তিনটি অভিযোগে। এদিকে মমতার ঘেরাও মন্তব্যের প্রেক্ষিতে প্রথমে জেলা প্রশাসনের রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। মমতার ব্যখ্যা চাওয়া হয়েছে ওই মন্তব্যের জন্য। এই প্রসঙ্গে কমিশনকে একহাত নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেন, ‘পিএম যা বলে তাতে ইসি কিছু বলে না। পরীক্ষা পে চর্চা করল তাতে রুল ভায়োলেট হয় না। আমি জনগণের সাথে আছি। সেটাই কমিশনকে জবাব দিয়ে আমি জানাব’।
এখানেই শেষ নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যুক্তি, এর আগেও তাঁর দলের প্রচারে বাধা দিয়েছে কমিশন। তাঁর কথায়, ‘বিজেপি যা বলছে তাই করছে। আমি সিআরপিএফ, সিআইএসএফ নিয়ে ততক্ষণ বলব যতক্ষণ বিজেপি করবে। দেশের সেনাবাহিনীকে আমি সম্মান করি’। অর্থাৎ মমতা বোঝাতে চাইলেন, তাঁর লড়াইটা আধাসামরিক বাহিনীর সঙ্গে নয়, তাঁর অভিযোগ বাহিনীর অপব্যবহার নিয়ে। এক ধাপ এগিয়ে তিনি বললেন, ‘ইলেকশন কমিশন যত আমার বিরুদ্ধে কেস করবে আমি তত দীর্ঘজীবী হব’।