৩ বছর পর ফের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচে মুখোমুখি হতে চলেছে স্পেন ও ইংল্যান্ডের দুই প্রথম সারির ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদ এবং লিভারপুল। ২০১৮ সালের চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে সালাহদের লিভারপুলকে হারিয়ে ট্রফি জিতে নিয়েছিল রিয়াল। এবার সেই হারেরই বদলা নিতে মুখিয়ে আছে লিভারপুল। লা লিগায় এইমুহূর্তে রিয়াল মাদ্রিদ দ্বিতীয় স্থানে। অন্যদিকে, ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে গত বছরের চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল রয়েছে ছ’নম্বরে।
মহারণের আগে লিভারপুল সমর্থকদের আবেগে ধাক্কা দিয়ে ফেলেছেন সালাহ স্বয়ং। স্পেনীয় প্রচারমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘এখনও অনেক বছর ফুটবল খেলব। স্পেনের ক্লাবে আগামী দিনে আমাকে দেখা যেতেই পারে। রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা—দু’টোই বড় ক্লাব। ভবিষ্যৎ তো আমার হাতে নেই।’’ এর পরেই লিভারপুলের প্রতি সালাহের আবেগ নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন ক্লাবের কিছু সমর্থক। ‘মিশরের মেসি’ সালাহ অবশ্য সমর্থকদের এই ক্ষোভ থেকে নিজেকে দূরে রেখে গোল করার কাজটি করে চলেছেন। শনিবারও আর্সেনালের বিরুদ্ধে লিভারপুলের ৩-০ জয়ের ম্যাচে গোল করেছেন।
২০১৮ সালের সেই ম্যাচে রিয়ালের ডিফেন্ডার র্যামোসের সঙ্গে সঙ্ঘর্ষে চোট পেয়ে প্রথমার্ধেই কাঁদতে কাঁদতে মাঠ ছেড়েছিলেন সালাহ। এ বার ফের সেই রিয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তাঁর হুঙ্কার, ‘‘এই ম্যাচটা জেতার জন্য বিশেষ তাগিদ অনুভব করছি। রিয়াল মাদ্রিদকে হারিয়েই সেমিফাইনালে যেতে চাই।’’
মঙ্গলবার রাতে সালাহকে রোখার জন্য রিয়াল মাদ্রিদে রক্ষণে থাকবেন না র্যামোস। পেশির চোটের কারণে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের দুই পর্ব থেকেই ছিটকে গিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদ অধিনায়ক। তিনি না থাকায় যুর্গেন ক্লপের প্রশিক্ষণাধীন লিভারপুলের আক্রমণ ভাগ অনেকটাই চাপমুক্ত থাকতে পারবে। রিয়ালের আক্রমণ সামলাতে এই ম্যাচে ক্লপ খেলাতে পারেন ডিফেন্ডার নাথানিয়েল ফিলিপসকে। তিনি বলছেন, ‘‘রিয়াল বড় ক্লাব। ভাল ফুটবলারদের ভিড় সেখানে। কিন্তু লিভারপুলের বিরুদ্ধে ওদের এগিয়ে রাখার কারণ দেখছি না।’’
অন্যদিকে, রিয়াল শিবিরে চোট সারিয়ে ছন্দে ফেরার পরে সাত ম্যাচে ৯ গোল করে রীতিমত ফুটছেন করিম বেঞ্জেমা। ছন্দে রয়েছেন মার্কো আসেন্সিয়ো, ভিনিসিয়াস জুনিয়রেরাও। আর তাঁদের বল জোগানোর জন্য রয়েছেন লুকা মদ্রিচ, টোনি খোসেরা। বাঁ দিক থেকে লেফ্ট ব্যাক মার্সেলোর ওভারল্যাপও বিপক্ষের ভয়ের কারণ। যা লিভারপুলের ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড, ফিলিপসদের রক্ষণের কাছে বড় চাপ হিসেবেই গণ্য হবে। রিয়াল ম্যানেজার জিনেদিন জিদান বিপক্ষ সম্পর্কে বলেছেন, ‘‘লিভারপুল দুর্দান্ত দল। ওদের আক্রমণ ভাগও বেশ ভাল। দু’দলেই কয়েকজন ফুটবলার নেই। কিন্তু ফুটবলে সেটা হয়েই থাকে।’’