‘সময় এসেছে। এবার ট্রাক্টর নিয়ে গান্ধীনগর ঘেরাও করে রাস্তা বন্ধ করে দেব। দরকার হলে সব ব্যা রিকেড ভেঙে এগিয়ে যাব’। কৃষক আন্দোলনের প্রচার ও প্রসারে দু’দিনের সফরে গুজরাতে গিয়েছেন কৃষক আন্দোলনের অন্য তম নেতা রাকেশ টিকায়েত। খোদ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর লোকসভা কেন্দ্র তথা প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর রাজ্যের রাজধানীতে ট্রাক্টর মিছিল করার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি।
এদিন, গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্য মন্ত্রী শঙ্কর সিং বাঘেলার সঙ্গে মহাত্মা গান্ধীর সবরমতী আশ্রম ও সর্দার বল্লভভাই প্যা্টেলের জন্মস্থানে যান কৃষক নেতা রাকেশ টিকায়েত। সেখানে তিনি বলেন, ‘গুজরাতের কৃষকরা মাত্র তিন টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করতে বাধ্যত হচ্ছেন। অথচ কেউ কেউ তাঁদের উপর এমন চাপ দিচ্ছেন যে, ওঁরা ভয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। কে বা কারা এই চাপ দিচ্ছেন, তা নিশ্চয়ই বলে বোঝাতে হবে না। আমরা এখানের কৃষকদের পাশে থেকে, ওঁদের মন থেকে ভয় দূর করতে এসেছি। দিল্লীতে যে আন্দোলন চলছে, এবার এখানেও তা হবে। দরকার হলে ট্রাক্টর নিয়ে গান্ধীনগর স্তব্ধ করে দেওয়া হবে’।
পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি মেনে, এদিন দেশের নানা প্রান্তে এফসিআই অফিস ঘেরাও করেন কৃষকরা। স্বাভাবিক নিয়ম মেনে প্রায় সব জায়গাতেই ছিল ব্যােপক পুলিশি প্রহরা। তার মধ্যেই নিজেদের দাবিদাওয়া স্মারকলিপির আকারে জমা দেন আন্দোলনকারীরা। কৃষক আইন প্রত্যািহারের দাবিতে রবিবার হরিয়ানার মুখ্যকমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টারকে ঘেরাও করে প্রতিবাদ দেখান কৃষকরা। সেই সময় তাঁদের উপর পুলিশ যথেচ্ছ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ। এদিন সেই ঘটনার প্রতিবাদে হরিয়ানার বিভিন্ন টোল প্লাজা, হাইওয়ে অবরোধ করা হয়। পোড়ানো হয় খট্টরের কুশপুতুল।