বাংলায় শুরু হয়েছে বিধানসভা ভোট। সেই সঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে গেরুয়া বাহিনীর সন্ত্রাসও। যে দু’দফার ভোট হয়েছে, তাতে একাধিক জায়গা থেকে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর এসেছে। এবার দেখা গেল, ভোটে হিংসার পরিবেশ তৈরি করতে বিহার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র আসছে শিলিগুড়িতে। শনিবার রাতে দু’টি সেভেন এমএম পিস্তল, তিনটি ম্যাগজিন, একটি পাইপগান ও আটরাউন্ড গুলি সহ তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করার পর এমনই অনুমান পুলিশের। একইসঙ্গে তারা জানিয়েছে, ভোটের ময়দানে সক্রিয় হয়ে উঠেছে পুরনো দুষ্কৃতীরা। এ জন্য বাউন্ড-ডাউন ও ওয়ারেন্ট কার্যকরী করার ক্ষেত্রে জোর দিয়েছে পুলিশ। তারা এ ব্যাপারে প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আগামী ১৭ এপ্রিল ভোট শিলিগুড়িতে। এ জন্য শহরে নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। তারা শনিবার রাতে ভক্তিনগর থানা ও আশিঘর ফাঁড়ির দু’টি এলাকায় অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র সহ দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভক্তিনগর থানার সেভক রোডে একটি হোটেলের সামনে নম্বর প্লেটহীন একটি বিলাসবহুল গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি সেভেন এমএম পিস্তল, দু’টি ম্যাগজিন ও ছ’রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে। ধৃতের নাম খোকন সরকার। শিলিগুড়ির জোতিনগর এলাকায় তার বাড়ি।
শিলিগুড়ির এসিপি (পূর্ব) শুভেন্দর কুমার বলেন, সোর্স মারফৎ খবর পেয়ে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের বিরুদ্ধে পুরনো কিছু মামলাও রয়েছে।
শুধু তাই নয়। ওই রাতেই আশিঘর ফাঁড়ির পুলিশ অভিযান চালিয়ে সশস্ত্র আরও দুই দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম শুভজিৎ বিশ্বাস ও শম্ভু দাস। শান্তিনগরে শুভজিতের বাড়ি। তার কাছ থেকে একটি সেভেন এমএম পিস্তল, ম্যাগজিন ও দু’রাউন্ড গুলি মিলেছে। ঘোগমালিতে শম্ভর বাড়ি। ধৃতের কাছ থেকে একটি পাইপগানও মিলেছে। শিলিগুড়ি এসিসি (পূর্ব) বলেন, ঘটনার প্রাথমিক তদন্তের মনে হচ্ছে, ধৃতদের সঙ্গে অপরাধ জগতের সম্পর্ক অনেক দিনের। এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ ও গোয়েন্দাদের একাংশের বক্তব্য, ভোট আসতেই পুরনো দুষ্কৃতীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সন্ত্রাসের বাতাবরণ তৈরির উদ্দেশ্যে তারা ময়দানে নেমেছে। এ জন্য তারা সম্ভবত বিহার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করেছে।