ভোট এলেই এজেন্সি লেলিয়ে বিরোধীদের মুখ বন্ধের চেষ্টা করে বিজেপি। এই অভিযোগ নতুন নয়। আর সেই অভিযোগ যে মিথ্যে নয় এবার ফের প্রমাণ মিলল তার। বাংলায় যখন বিধানসভা ভোট চলছে, তখন সারদা তথা চিটফান্ড কাণ্ডে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়, শাসক দলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষের সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। একইসঙ্গে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হল সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের সতীর্থ তথা ডিরেক্টর দেবযানী বন্দ্যোপাধ্যায়েরও।
প্রসঙ্গত, বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী সারদা সংস্থার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যডর ছিলেন এবং সারদা থেকে মোটা টাকা সেই বাবদ নিয়েছিলেন। এই কারণে শতাব্দীকে অনেক আগেই জেরা করেছেন সিবিআই ও ইডি গোয়েন্দারা। আবার সারদার মিডিয়া গ্রুপের সিইও ছিলেন কুনাল ঘোষ। সারদা সংস্থা থেকে তিনি মাসে কমবেশি ১৬ লক্ষ টাকা বেতন নিতেন। কুনালকে সিবিআই জেরা করার আগেই চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেফতার করেছিল রাজ্য পুলিশ। তার পর সাড়ে তিন বছর জেলও খেটেছেন কুনাল। পরে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
তবে সারদা থেকে পাওয়া টাকা গত বছর ইডিকে ফেরত দিয়েছিলেন শতাব্দী। আর এবার ভোট চলাকালীন সারদা থেকে পাওয়া টাকা ইডিকে ফেরত দিয়েছেন কুণালও। কিন্তু তার পরেও তাঁদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। কুণাল ঘোষের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি মিলিয়ে আনুমানিক ৩ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। বিধানসভা ভোট চলাকালীন কেন্দ্রীয় তদন্ত এজেন্সির এই পদক্ষেপে হইচই পড়ে গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভোটের আগে ইডির এই পদক্ষেপের পিছনে বিজেপির প্রতিহিংসার রাজনীতি রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।