দায়িত্ব নিয়েই কাজ শুরু করে দিয়েছেন তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য। জয়া দত্তকে সরিয়ে কিছুদিন আগেই তাঁকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতির পদে বসানো হয়। এবার তৈরি হল তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নতুন রাজ্য কমিটি। কোচবিহার ছাড়া বাকি জেলাগুলির সভাপতিদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২৮ আগস্ট মেয়ো রোডে দলের ছাত্র সংগঠনের প্রতিষ্ঠা দিবসে নতুন কমিটি গড়ার জন্য দলের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে কমিটি গঠন করে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার তৃণমূল ভবনে তৃণাঙ্কুর সাংবাদিক বৈঠক করে এই নতুন কমিটি ঘোষণা করেন। তিনি জানান, ‘কয়েকটি জেলায় পরে সভাপতির নাম ঘোষণা করা হবে’।
তৃণাঙ্কুর বলেন, ‘শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করে কমিটি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কোচবিহার জেলা কমিটি পুরো ভেঙে দেওয়া হয়েছে। আমাদের মনে হয়েছে, বেশ কিছু জেলা কমিটি ভাল কাজ করেছে। তাদের রেখে দেওয়া হয়েছে। পুরনো কমিটির মধ্যে সভাপতি রইলেন উত্তর কলকাতা বিশ্বজিত দে, দক্ষিণ ২৪ পরগণার অমিত সাহা, হুগলির গোপাল রায়, হাওড়া গ্রামীনের হাসিবুল রহমান, হাওড়া শহরের তুষার ঘোষ, পশ্চিম বর্ধমানের কৌশিক মন্ডল, পূর্ব মেদিনীপুরের অন্বেষা জানা, বাঁকুড়ার চুমকি বন্দ্যোপাধ্যায়, মুর্শিদাবাদের ভীষ্মদেব কর্মকার, মালদার প্রসূন রায়, বীরভূমের সুরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। কাজের ওপর ভরসা রেখে এদের রাখা হয়েছে। ভবিষ্যতে এঁরা দলের সম্পদ হিসাবে দেখা দেবেন।’
নতুন জেলা কমিটির সভাপতি হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে নদিয়ার সৌরিক মুখোপাধ্যায়, উত্তর দিনাজপুরের অনুপ কর, পূর্ব বর্ধমানের মহম্মদ সাদ্দাম হোসেন, পশ্চিম মেদিনীপুরের সৌরভ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ারের সঞ্জয় ঘোষ, সেন্ট্রাল কলকাতার সুকান্ত চক্রবর্তীকে। তবে রাজ্যের বাকি সাতটি জেলা কমিটি একই থাকছে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
নতুন রাজ্য কমিটি থেকে বাদ গেলেন মৌমিতা গঙ্গোপাধ্যায়, জয়তী চৌধুরী ও তমোঘ্ন ঘোষ। তবে কমিটির সহসভাপতি হিসাবে রয়ে গেলেন মণিশঙ্কর মন্ডল ও রুমেনা আখতার। সাধারণ সম্পাদক গৌতম ভট্টাচার্য, আবির নিয়োগী ও কুণাল সামন্ত থাকলেন। নতুন দুজন হলেন শমীক রায় অধিকারী, সুভাষ চক্রবর্তী। সম্পাদক ওয়াহিদা খাতুন, তীর্থঙ্কর কুন্ডু, বুবাই বোস আগেই ছিলেন। এঁদের প্রত্যেকের মেয়াদ ২০১৯-এর ২৯ অগাস্ট অব্দি। নতুনদের কাজ শেখানোর জন্যই কমিটিতে পুরনোদের রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তৃণাঙ্কুর।