নন্দীগ্রামের অভিজ্ঞতা থেকে কোচবিহারের মানুষকে সতর্ক করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিনহাটায় কোচবিহারের তৃণমূল প্রার্থীদের সমর্থনে সভা থেকে মমতা বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বাহিনি গ্রামে গ্রামে ভয় দেখাতে গেলে, ভয় পাবেন না। সবাই মিলে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। আমি আপনারদের সঙ্গে আছি। আমি চুড়ি পরে বসে নেই’। শুধু বিজেপি নেতাদের আক্রণ করাই নয় নির্বাচন কমিশনকেও একহাত নিয়েছেন নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী।
বৃহস্পতিবার ২ এপ্রিল ভোট মিটেছে নন্দীগ্রামে। ১০ এপ্রিল কোচবিহারে ভোট। তাই নন্দীগ্রামের ভোট মিটতেই পরের দিন সকালে উত্তরবঙ্গ পৌঁছে গিয়েছেন মমতা। সেখান থেকে তিনি ভটের নির্ঘণ্ট নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করে বলেন, ‘এমন করে নির্বাচনের তারিখ করেছে যাতে আমরা মিটিং করতে না পারি’। নির্বাচন কমিশন যে বিজেপির কথায় চলছে সেই অভিযোগ ফের একবার তোলনেন মমতা। কিন্তু তাঁকে আটকানোর যতই চেষ্টা হোক তিনি যে থামবে না না তাও বুজিয়ে দেন। এমনকি ‘ইলেকশন কমিশন ভোট পরিচালান করছে না। ভোট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ করছেন বলেও তোপ দাগেন মমতা। তবে ভোটে জিতে তিনিই ক্ষমতায় আসছেন বলে দাবির পাশাপাশি হুমকির সুরে বলেন, ‘ইলেকশন পর্যন্ত সহ্য করব। তার পর দেখব এই গুন্ডাগুলো কোথায় যায়’।
তৃণমূলকে আটকাতে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করছে বলেও বিজেপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এমনকি তাঁর আক্রমণ থেকে পার পাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মোদীর বাংলাদেশ সফরকেও কটাক্ষ করেন মমতা। বাংলাদেশ থেকে মতুয়া ভোট টানতে প্রচার করছেন বলেও অভিযোগ তোলেন। কিন্তু তিনি গত ২৫ বছর ধরে মতুয়াদের পাশে আছেন।