বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে ভোট শেষ হওয়ার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেছিলেন, “মমতা দিদি হার স্বীকার করে নিয়েছেন। ওনাকে দেখলেই এক্সিট পোলের ফল জানা যাবে। কানাঘুষো শুনছি দিদি নাকি শেষ দফার ভোটে ফের মনোনয়ন পেশ করবেন!” প্রধানমন্ত্রীর সেই টিপ্পনিরই আজ মোক্ষম জবাব দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্বিতীয় কোনও আসনে প্রার্থী হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এও দাবি, দিদি নন্দীগ্রামেই জিতছেন।
আজ ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রের সাংসদ তথা যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “বাংলায় মনোনয়ন পেশের সময় শেষ হওয়ার আগেই এ সব বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত হোন, নইলে মিথ্যা ধরা পড়ে যাবে।” সেই সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে অভিষেকের বক্তব্য, “আপনি বরং নিরাপদ আসন খুঁজুন। নইলে ২০২৪ সালে বারাণসীতে আপনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন।”
রাজনীতিতে ধারণাই সব। এই ভোটে যেমন ইভিএমে লড়াই চলছে, তেমনই মানুষ ইভিএম পর্যন্ত পৌঁছনোর আগে তাঁদের কৌশলে বার্তা পৌঁছনোর লড়াই চলছে সেয়ানে সেয়ানে। প্রথম দফার ভোট শেষ হতেই মোদী-শাহরা কৌশলগত ভাবে এই বার্তা ছড়িয়ে দিতে চাইছেন যে বিজেপি জিতছে। দ্বিতীয় দফার ভোটের পরেও তাঁরা তাই করেছেন। সে সঙ্গে দাবি করছেন, নন্দীগ্রামেই মমতা হারছেন। ফলে হতেই পারে যে দ্বিতীয় কোনও আসনের খোঁজে রয়েছেন দিদি।
পর্যবেক্ষকদের অনেকের মতে, নন্দীগ্রামে মমতা হারছেন- এই বার্তা গোটা বাংলায় ছড়িয়ে গেলে তৃণমূল কর্মীদের মনোবল ভেঙে পড়তে পারে। তা ভোটারদেরও প্রভাবিত করতে পারে। সেই কারণে বিজেপির সেই প্রচারের মোকাবিলায় জোরদার ভাবেই নেমেছে তৃণমূলও। তাঁরা পাল্টা দাবি করতে শুরু করেছেন, নন্দীগ্রামে দিদিই জিতছেন।