প্রথম দফায় রাজ্যের ৩০ আসনে ভোট হয়ে গিয়েছে। আজ, শুক্রবার, ১ এপ্রিল রাজ্যের ৩০টি আসনে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন। এরপরে বাকি আরও ৬ দফা। ২৩৪ আসন। কিন্তু গোটা দেশেরই নজর আজ একুশের ভোটের ‘হাইভোল্টেজ সেন্টার’ নন্দীগ্রামের দিকে। কারণ এই কেন্দ্রে প্রার্থী খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এখানে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে সম্মুখ সমরে নেমেছেন তিনি। এদিন ভোট শুরুর পর সকাল থেকেই বিক্ষিপ্ত অশান্তি চলছিল সেখানকার বিভিন্ন বুথে। কোথাও বোমাবাজি, কোথাও আবার বুথের পাশে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
আর দুপুর গড়াতে শুরু হয়ে যায় গণ্ডগোলও।
এদিন দুপুর দুটো নাগাদ একদিকে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, ৭০ শতাংশ ভোট পড়ে গিয়েছে। আশা করছি দিনের শেষে ৮৫ শতাংশ ভোট করবে। তাঁর কথায়, যে এসব এলাকায় আমাদের জনভিত্তি প্রবল সেখানে ভোট পড়বে ৯০ শতাংশ। শুভেন্দু যখন এই দাবি করছেন, তখন দেখা যায় দুপুর দেড়টা নাগাদ রেয়া পাড়ায় তাঁর ভাড়া বাড়ি থেকে বেরোচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর কাছেই বয়ালের ৭ নম্বর বুথে যান তিনি। বয়ালে সকাল থেকে তৃণমূল নেতা রুকনউদ্দিন অভিযোগ করছিলেন, তাঁদের এজেন্টকে বুথে বসতে দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর এও অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনীই বসতে দিচ্ছে না। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি করে, ওই এজেন্টের কাগজ ঠিক ছিল না।
দুপুরে সেই বুথে যখন মমতা পৌঁছন তখন এলাকায় দুই শিবিরের খণ্ডযুদ্ধের উপক্রম হয়। গোটা এলাকায় নেমে যায় আধা সামরিক বাহিনী ও পুলিশ। তারা দু’পক্ষকেই শান্ত করার চেষ্টা করে। পরিস্থিতি উত্তপ্ত দেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুথের মধ্যেই থাকতে বলা হয়। দেখা যায়, বুথের মধ্যে বসে ঘনঘন মোবাইলে ফোন করছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি কার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলেন তা বোঝা যায়নি। তবে মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, কমিশন তৃণমূলের কোনও অভিযোগ শুনছে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কথায় কাজ করছে। এমনকি মুখ্যমন্ত্রীকে এও বলতে শোনা যায়, এত সহজে ছেড়ে দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে আইনি পথে হাঁটার কথাও বিবেচনা করা হচ্ছে।