মা-মাটি-মানুষের আশীর্বাদে নন্দীগ্রামে আমরাই জিতবো। বয়ালের ৭ নম্বর বুথ থেকে বেরিয়ে এমনটাই দাবি করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে তিনি এই অভিযোগ করেন, ‘নন্দীগ্রামের বিজেপি প্রার্থী কাল রাত থেকে অসভ্যতামি করছে। আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়েছে।’ এরপরই প্রত্যয়ের সুরে তিনি বলেন, ‘যতই কারচুপি হোক জিতব আমিই।’ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ‘নন্দীগ্রাম নিয়ে চিন্তিত নই।’
তিনি আরও বলেন, কয়েক জায়গায় ভোট দিতে বাধা দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজেপির হয়ে ভোট করাতে নির্দেশ দিয়েছেন। গোটা বিষয়ে কমিশনের নীরবতা দেখে আমি স্তম্ভিত। এদিন, নির্বাচন কমিশনের একপেশে মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি ভোটগ্রহণের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতাদের ভোট প্রচার নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এর আগে নন্দীগ্রামের বয়ালের বুথে অশান্তি নিয়ে রাজ্যপালকে ফোনে অভিযোগ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি সে সময় বলেছিলেন, ‘সকাল থেকে কাউকে ভোট দিতে দেয়নি। ৬৩টি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ৮০ শতাংশ ছাপ্পা ভোট হয়েছে। ব্যবস্থা নেয়নি কমিশন। আমরা আদালতে যাব।‘ তাঁর আরও অভিযোগ ছিল, ‘বহিরাগতদের নিয়ে এলাকায় অশান্তি ছড়ানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে এই কাজ হয়েছে।’
এদিন প্রায় দুই ঘণ্টার মতো বয়ালের সেই বুথে বসেছিলেন মমতা। বাইরে যুযুধান তৃণমূল ও বিজেপি। মারমুখী দুই পক্ষ, একে অপরকে হুমকি, ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি আয়ত্বে আনতে দুই দলের সমর্থকদের মাঝে মোতায়েন করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারপর বয়ালের ৭ নম্বর বুথ থেকে অবশেষে বাইরে বের করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বাইরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকায় নন্দীগ্রামের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠির নেতৃত্বে বাহিনী ওই এলাকায় যায়। তাঁর সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।