গোটা বাংলা মায় গোটা দেশে নজর নন্দীগ্রামে। সেই নন্দীগ্রাম থেকেই দফায় দফায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির অভিযোগ আসছে নির্বাচনের দিন সকাল থেকেই। শেষ কয়েক ঘণ্টায় অশান্তি দানা বাঁধছে বয়াল এলাকার তৃণমূল সমর্থকদের ভোট দিতে যেতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ সামনে আসায়। অভিযোগের আঙুল বিজেপির দিকে।
তৃণমূল সমর্থকদের অভিযোগ, বয়ালের অন্তর্গত ১৩, ১৪, ১৮,১৯,২০ নং বুথে তৃণমূল সমর্থকদের বুথে ঢুকতে দেওয়া হয়নি দীর্ঘক্ষণ। এমনকি গ্রামে ঢুকে ভোট দিতে না যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ ওঠে। বয়ালের ৬ নং বুথে শম্ভুনাথ প্রাইমারি হাইস্কুল ও ৭ নং বুথের মক্তব প্রাইমারি স্কুল দীর্ঘক্ষণ দখল করে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের অভিযোগ সিআরপিএফ-কে ব্যবহার করে বুথ দখল করছে বিজেপি। পোলিং এজেন্টকেও ঢুকতে দেওয়া হয়নি। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।
অন্য দিকে বুথের বাইরে জমায়েত নিয়ে এদিন ঝামেলা বাধে গড়চক্রবেড়িয়া অঞ্চলেও। কেন্দ্রীয় বাহিনী গিয়ে দ্রুত বেশ কয়েকটি অবৈধ জমায়েত ভেঙে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে আপাতত।
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত গোটা পূর্ব মেদিনীপুরে মোট নয় কেন্দ্রে ভোট পড়েছে ৩৮.২৫ শতাংশ। এর মধ্যে নন্দীগ্রামে ভোট পড়েছে ৩৪.১২ শতাংশ। এর মধ্যে মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি নন্দীগ্রামে লক্ষ্যণীয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল প্রথম থেকেই আস্থা রাখছিলেন মহিলা ভোটের উপর, মহিলাদের অংশগ্রহণ কি তারই ইঙ্গিত, জল্পনাটা ঘুরছে।