আসামে তিন দফা ভোট শুরু হতে আর দেরি নেই। তার আগে বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সমাজকর্মী অখিল গগৈ। বিজেপি অথবা আরএসএসে যোগ দিলে জামিন মিলবে। নাহলে পচে মরতে হবে জেলে। বন্দী থাকাকালীন তাঁকে নাকি এমনই প্রস্তাব দিয়েছিল এনআইএ। এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন অখিল গগৈ। জেলে থাকাকালীন তাঁর উপর অকথ্য মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন চলেছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। আসামের এই সমাজকর্মী আরও জানিয়েছেন, তাঁকে বিনা দোষে জেলে আটকে রাখা হয়েছে।
এদিন জেল থেকে লেখা একটি চিঠিতে এনআইএ ও বিজেপির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন তিনি। ২০১৯ সালে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের জেরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল আসাম। সেই সময় ১২ ডিসেম্বর কৃষক মুক্তি সংগ্রাম পরিষদের নেতা অখিলকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জোরহাট থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রশাসন দাবি করেছিল, তাঁকে জেলবন্দী না করলে সিএএ বিরোধী আন্দোলন আরও বৃহত্তর আকার নিতে পারত। ফলে আসামের বিস্তীর্ণ এলাকায় অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার সুযোগ থাকত। অখিল গগৈ জেলে থাকলেও তাঁর পার্টি রাইজোর দল সক্রিয় রয়েছে। এবং তারা এবার নির্বাচনে লড়বে। আসামের শিক্ষিত সমাজ অখিলের মুক্তির দাবি জানাচ্ছে বহুদিন ধরেই। কিন্তু কোনও লাভ হচ্ছে না।
এদিকে রাইজোর দল আসামের এজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে লড়বে বলে ঠিক করেছে। অখিল গগৈ চিঠিতে লিখেছেন, ‘জেলে আমার ওপর অকথ্য অত্যাচার করা হয়েছে। নোংরা কম্বলে শুতে দেওয়া হত। প্রচন্ড ঠান্ডায় আমাকে মেঝেতেই ঘুমোতে হত। একটা সময় পর ওদের অকথ্য অত্যাচার আমি আর সহ্য করতে পারছিলাম না। তখন এনআইএ-র তরফে আমাকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, বিজেপি অথবা আরএসএস জয়েন করলে বিধানসভা নির্বাচনে আমি লড়তে পারব। এমনকী মন্ত্রীও হতে পারি। আর যদি ওদের প্রস্তাবে রাজি না হই তাহলে জেলেই আমাকে পচে মরতে হবে। ওরা আমাকে আসামের মুখ্যমন্ত্রী ও আরেকজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দিয়েছিল। আমি কোনও প্রস্তাবে রাজি হইনি। সেই সময় এনআইএ-র তরফে জানানো হয়, আরও দশ বছর আমাকে জেলের কুঠুরিতে ওরা বন্দী করে রাখবে।’