পড়ুয়াদের স্কুলব্যাগের বোঝা কমাতে এবার বিশেষ উদ্যোগী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের সকল পড়ুয়াকে তাই ডিজিটাল পাঠে রপ্ত করাতে চায় তাঁর নেতৃত্বাধীন সরকার।
প্রাথমিকের পর এবার নবম শ্রেণীর পাঠ্যপুস্তকগুলির জন্যও ‘ই-কনটেন্ট’ তৈরি করার পরিকল্পনা নিয়েছে শিক্ষাদফতর। ঠিক হয়েছে, নবমের ইংরেজি, বাংলা এবং অঙ্কের জন্য এই কনটেন্ট তৈরি করা হবে। এ নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনাও হয়েছে।
তবে ই-কনটেন্ট বা প্রযুক্তির সাহায্যে ক্লাসে পড়ানো শুরুর সঙ্গে সঙ্গে দফতরের তরফে স্কুলে স্কুলে পরিকাঠামো খতিয়ে দেখার কাজও চলবে। উল্লেখ্য, এই বিশেষ প্রযুক্তির সাহায্যে পড়ানোর জন্য স্কুলগুলিতে স্মার্ট ক্লাসরুম থাকা অত্যাবশ্যক। সেই ব্যবস্থা কোন স্কুলে কতটা এগিয়েছে, শীঘ্রই তা খতিয়ে দেখবে দফতর।
ই-কনটেন্ট হল, গতানুগতিক পাঠ্যবইয়ের বদলে প্রযুক্তির সাহায্য নিয়ে বিষয়বস্তু তৈরি করা। সেসবই পড়ানো হবে ক্লাসে ক্লাসে। কখনও চলমান আবার কখনও স্থির ছবি ব্যবহার করে পড়ুয়াদের বিভিন্ন বিষয়বস্তু পড়ানো এবং বোঝানো হবে।
ই-কনটেন্ট তৈরির আগেই রাজ্যের স্কুলগুলিতে স্মার্ট ক্লাসরুম গড়ার জন্য উদ্যোগী হয়েছিল রাজ্য সরকার। তার জন্য নির্দিষ্ট করে অনুদানও বরাদ্দ হয়েছিল। বেশ কিছু স্কুলকে প্রজেক্টরের ধাঁচে একটি যন্ত্রও দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে ছবি দেখিয়ে স্ক্রিনে বিষয়বস্তুগুলিকে দেখানো এবং পড়ানো যাবে।
শিক্ষাদফতর সূত্রে খবর, সম্প্রতি নবম শ্রেণীর ই-কনটেন্ট নিয়ে এক দফা বৈঠক হয়েছে। সেখানে বিশেষজ্ঞ কমিটি, স্টেট প্রজেক্ট ডিরেক্টর সহ অন্যান্য কর্তাব্যক্তিরা ছিলেন। এই কনটেন্ট নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়েরও সায় রয়েছে।
বিশেষজ্ঞ কমিটির চেয়ারম্যান অভীক মজুমদার বলেন, প্রাথমিকভাবে নবম শ্রেণীতে ই-কনটেন্ট তৈরি করার কথাবার্তা হয়েছে। এটি তৈরির সঙ্গে সঙ্গে আমরা স্কুলগুলির পরিকাঠামোও দেখে নিতে চাই।