মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৌলতে এবার ‘অন্য’ আকাশপথ পেতে চলেছে কালীঘাট। আর এই ঘোষণা শুনেই আশাবাদী হতে শুরু করেছে কালীঘাট-সহ গোটা রাজ্যের মানুষ। সেখানকার দোকানদার, হকার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের আশা, এই নতুন স্কাইওয়াক তাঁদের অনেক সমস্যারই সুরাহা করে দেবে।
কালীঘাটের অন্যতম প্রধান সমস্যা হকার। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, হকারদের জন্য দোকানদারদের ব্যবসা প্রায় লাটে ওঠার জোগাড়। তাঁদের দাবি, হকাররা দোকানের সামনেই ডালা পেতে রাখেন, ক্রেতারা দোকানে ঢোকার সুযোগ পান না। তাই এই সমস্যার যথাযথ সমাধান করে স্কাইওয়াক করলে সুবিধে হবে সকলের।
কালীঘাটের একটি ব্যবসায়ী সংগঠন সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীঘাট রোড, কালী টেম্পল রোড, কালীঘাট রিফিউজি হকার্স কর্নার মিলিয়ে প্রায় এক হাজারের উপরে দোকানদার রয়েছেন। হকারের সংখ্যাও ৮০০-র উপরে।
কালী টেম্পল রোডের ব্যবসায়ী কমিটির সম্পাদক এবং ব্যবসায়ী সংগঠন ফেডারেশন অফ ট্রেড অর্গানাইজেশনের (এফটিও) দক্ষিণ-পূর্ব জেলার অন্যতম কর্তা শশী সাহা বলেন, ‘সকলের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে সরকার যদি স্কাইওয়াক নির্মাণ করে, তা হলে আমাদের কোনও অসুবিধে নেই।’
এলাকার ব্যবসায়ীদের অনুযোগ , ‘এ ভাবে আর পারা যাচ্ছে না। তাই সকলের একটা পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হলে সবাই আবার ভালো করে ব্যবসা করতে পারব।’ অন্যদিকে, হকাররা জানান, ‘আমাদেরও রোদে-জলে ভিজে ব্যবসা করতে হয় বারো মাস। পুনর্বাসনের ফলে মাথার তলায় একটা ছাদ পেলে ভালো হয়।’
আট নম্বর বরোর চেয়ারম্যান বৈশ্বানর চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘সকলের সঙ্গে কথা বলেই কালীঘাটে স্কাইওয়াক নির্মাণ হবে।’ ৮৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মঞ্জুশ্রী মজুমদার বলেন, ‘সব সমস্যার সমাধান করেই কালীঘাটে স্কাইওয়াক হবে।’