১০০ দিনেরও বেশি সময় পার হয়েছে। তবুও দিল্লী লাগোয়া সীমানায় কৃষক বিক্ষোভ থামছে না। এই প্রেক্ষিতে আরও কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা সামনে এল। টিকরি সীমানার কাছে এই ঘটনা ঘটেছে। হরিয়ানার হিসার জেলার বাসিন্দা বছর পঞ্চাশের এক কৃষক আত্মঘাতী হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গাছে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর দেহ মেলে বলে জানা যাচ্ছে। ঘটনাস্থল থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়য়েছ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বাহাদুরগড় সিটি থানার এসএইচও বিজয় কুমার বলেন, ‘মৃতের নাম রনবীর। হিসার জেলার বাসিন্দা তিনি। একটি গাছ থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে।’
জানা যাচ্ছে, সুইসাইড নোটে উল্লেখ করা হয়েছে, তাঁর মৃত্যুর জন্য দায়ী তিন কৃষি আইন। তিনি আরও লিখেছেন, তিন কৃষি আইন বাতিল করে তাঁর শেষ ইচ্ছে পূরণ করুক কেন্দ্র। প্রসঙ্গত,গত কয়েকমাসেরও বেশি সময় ধরে দিল্লী লাগোয়া সীমানায় তিন কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে আন্দোলনে সামিল দেশের অন্নদাতারা। পাঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে আসা কয়েকশো কৃষকদের প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। কৃষি আইনের প্রতিবাদে এর আগেও কয়েকজন কৃষকের আত্মহত্যার ঘটনা সামনে এসেছে। কৃষি আইন বাতিল না হলে আন্দোলন চলবে বলে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষক নেতারা। এই প্রেক্ষিতে ফের এক কৃষকের আত্মহত্যার খবর নয়া মাত্রা যোগ করল বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশ।
এদিকে, একাধিকবার সরকারের সঙ্গে কৃষক নেতাদের বৈঠকেও রফা মেলেনি। ইতিমধ্যে ১১ বার মোদী সরকারের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে মুখোমুখি হয়েছেন কৃষকরা। তিন কৃষি আইন বাতিল করতেই হবে, এ দাবিতে এখনও অনড় তাঁরা। তাঁদের ওই দাবির পরিবর্তে ১২-১৮ মাসের জন্য নয়া আইন স্থগিত রাখার প্রস্তাব দিয়েছিল সরকার। কিন্তু, তা মানতে নারাজ দেশের অন্নদাতারা। সম্প্রতি কৃষকনেতা রাকেশ টিকায়েত বলেছেন, ‘কমিটির সঙ্গে সরকার বৈঠক করতে রাজি না হলে আমাদের বিক্ষোভ জারি থাকবে। দেশজুড়ে ফসলের ন্যূনতম ও সর্বোচ্চ দাম থাকা উচিত।’ উল্লেখ্য, গত কয়েকদিন ধরেই ‘নীরব’ কেন্দ্রীয় সরকার। মোদী সরকারের এ হেন ‘নীরবতা’ নিয়ে সম্প্রতি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন টিকায়েত। সরকারের এই নীরবতা দেখে টিকায়েত বলেছেন, কৃষক বিক্ষোভের বিরুদ্ধে নিশ্চয়ই কিছু পরিকল্পনা করছে সরকার। বিক্ষোভরত কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকের জন্য সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে বলে সোচ্চার হয়েছেন রাকেশ। টিকায়েত বলেছিলেন, ‘গত ১৫-২০ দিন ধরে নীরব সরকার। এতেই বোঝা যাচ্ছে, কিছু একটা ঘটছে। বিক্ষোভের বিরুদ্ধে সরকার কিছু পরিকল্পনা করছে।’