বিশাখাপত্তনমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারত হারতে পারত। কোনওরকমে টাই হয়েছে। ১–১–এর পরিবর্তে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে আছেন বিরাটরা। এই অবস্থায়, পরবর্তী ৩টি একদিনের ম্যাচের জন্য বৃহস্পতিবার ১৫ জনের দল তৈরি করা হল। এবং ১৪ জনের দল থেকে বাদ দেওয়া হল বাংলার পেসার মহম্মদ সামিকে।দল পরিবর্তন করার পর দেখে মনে হতেই পারে যে সামির কারণেই বুঝি ভারত ২–০ করতে পারেনি। কারণ, বাকি দল অপরিবর্তিত। বাদ দেওয়া হল সামিকে। এবং
সামির পরিবর্তে জাতীয় নির্বাচকরা সুযোগ দিলেন দু’জন পেস বোলারকে। জসপ্রীত বুমরা এবং ভুবনেশ্বর কুমারকে ফিরিয়ে আনা হল, সামিকে বাদ দিয়ে।
বাঁহাতি পেসার খলিল আহমেদকে পর্যন্ত দলে রাখা হয়েছে। অথচ সামিকে বাদ দেওয়া হল। সামি প্রথম দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচে খুব ভাল বোলিং করতে পারেনি। গুয়াহাটিতে ৮১ রান দিয়ে পেয়েছিলেন ২টি উইকেট ও বিশাখাপত্তনমে ৫৯ রানে ১ উইকেট। খারাপ বোলিং করেছেন।
প্রথম দুই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ভারতের দলে অন্যতম পেসার উমেশ যাদব সামির তুলনায় অতি জঘন্য বোলিং করেছেন। প্রথম ওয়ানডেতে ৬৪ রান দিয়েছেন কোনো উইকেট না নিয়ে। এবং দ্বিতীয় ম্যাচে ৭৮ রান দিয়েছেন একটি উইকেট নিয়ে।
পার্থক্য করলে বোঝা যাই যে উমেশের তুলনায় সামির বোলিং ইকোনমি রেট ভালো এবং তিনটি উইকেটও তুলেছেন সামি। শেষ ম্যাচে যখন শেষ দু ওভারে যখন উইন্ডিজদের জিততে দরকার ২০ রান, তখন ৪৯তম ওভারে বল করতে গিয়ে মাত্র ৬টি রান দিয়েছিলেন। শেষ ওভারের জন্য ১৪ রান বাকি ছিল। উমেশ যাদব শেষ ওভারে বল করতে গিয়ে ১৩ রান দিয়েছিলেন ও ম্যাচটি ড্র হয়ে যায়।
এর পরেও কেন সামিকে কেন বাদ দেওয়া হয়েছে এই নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। এই নিয়ে শুরু হয়ে গেছে সমালোচনা। টুইটারের মাধ্যমেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। ১৪ জনের দলকে যখন ১৫ জনের দল করা হল, তখন সামির মতো একজন সিনিয়রকে দলে রেখে ১৬ সদস্যের দলও করা যেত। খেলা হচ্ছে ভারতে। সুতরাং বাড়তি দু–একজন ক্রিকেটার দলে রাখলে কারও কোনও মাথাব্যথা হত না।
নতুন ঘোষিত দল: বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা (সহ–অধিনায়ক), শিখর ধাওয়ান, অম্বাতি রায়ডু, ঋষভ পন্থ, মহেন্দ্র সিং ধোনি, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, ভুবনেশ্বর কুমার, জসপ্রীত বুমরা, খলিল আহমেদ, উমেশ যাদব, কে এল রাহুল এবং মণীশ পান্ডে।