প্রতিপক্ষ খুব একটা কঠিন ছিল না। বরং তুলনামূলক এই সহজ ম্যাচটা জিততে পারলেই প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে সরাসরি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ মিলত। কিন্তু এই কৃতিত্বের হাতছানিই হয়তো অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে ফেলল এটিকে মোহনবাগানের উপর। পাঁচ ম্যাচ জয়ের পর হায়দ্রাবাদ এফসির বিরুদ্ধে ২-২ গোলে ড্র করল সবুজ-মেরুন শিবির। যার জেরে এখনও ঝুলেই রইল হাবাস ব্রিগেডের এসিএল ভাগ্য। এক্ষেত্রে প্রথম দল হিসেবে এসিএলের গ্রুপ পর্বে সরাসরি খেলতে হলে মুম্বই সিটি এফসির বিরুদ্ধে শেষ ম্যাচ থেকে অন্তত এক পয়েন্ট পেতেই হবে সবুজ মেরুনকে।
গতকাল ম্যাচের শুরুটা একেবারে জঘন্য করে এটিকে মোহনবাগান। ৮ মিনিটের মাথায় রক্ষণের ভুলের জন্য প্রথম গোল হজম করতে হয়। এরপর হায়দ্রাবাদ ক্রমশ চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করতে থাকে। প্রথমার্ধের শেষ পর্যন্ত ম্যাচে ফেরে এটিকে মোহনবাগান। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই প্রত্যাঘাত করে সবুজ-মেরুন শিবির। ৫৭ মিনিটে দুর্দান্ত গোল করে সমতা ফেরান মনবীর সিংহ। কিন্তু এটিকে মোহনবাগানের সেই সাফল্য বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ৭৫ মিনিটে আবার লিড পেয়ে যায় হায়দ্রাবাদ। এবার গোল করেন পরিবর্ত ফুটবলার রোলান্ড। একটা সময় মনে হচ্ছিল, হায়দ্রাবাদের কাছে হেরেই মাঠ ছাড়তে হবে সবুজ-মেরুন শিবিরকে। কিন্তু ম্যাচের ইনজুরি টাইমে গোল করে সেই আশঙ্কা দূর করেন এটিকে মোহনবাগানকে স্বস্তি দেন প্রীতম কোটাল। ম্যাচ শেষ হয় ২-২ গোলে।
এই ম্যাচ ড্র হওয়ায় ১৯ ম্যাচে ৪০ পয়েন্টে পৌঁছে গেল এটিকে মোহনবাগান। মুম্বই সিটি এফসি আছে ১৮ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্টে। শেষ দুই ম্যাচে তাঁরা জিতলে পৌঁছাবে ৪০ পয়েন্টে। তবে, তাঁদের একটি ম্যাচ আবার সবুজ-মেরুনের বিরুদ্ধেই। সেই ম্যাচ থেকে ১ পয়েন্ট পেলেই প্রথম ভারতীয় দল হিসেবে সরাসরি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলার সুযোগ পাবে এটিকে মোহনবাগান। অর্থাৎ, শেষ দুই ম্যাচের যে কোনো একটিতে মুম্বই সিটি এফসি পয়েন্ট নষ্ট করলেই এসিএল খেলা নিশ্চিত হয়ে যাবে হাবাস ব্রিগেডের।