সংগঠনের ভাঁড়ে মা ভবানী দশা হয়েছে আগেই। বাতি নিভল মুখপত্রেরও। নিজেদের মুখ পুড়িয়েই এবার ‘কালান্তর’ বন্ধ করার পথে সিপিআই। কারণ, আগের মতো বিক্রি নেই আর। মানুষও আগ্রহ হারিয়েছে। সেই ভাবে বিজ্ঞাপনও আসে না আর। কিন্তু কাগজ প্রকাশ করতে গিয়ে খরচ হচ্ছে ভালোই। বাড়ছে আর্থিক বোঝা। সেটাই আর সামলাতে পারল না সিপিআই। তাই বন্ধ হয়ে বন্ধ হতে চললো এতো দিনের কালান্তর।
আর কিছুদিন পরেই দীপাবলি। বাংলার ঘরে ঘরে জ্বলে উঠবে দীপ। দীপান্বিতার আগমনে আলোকিত হবে গোটা রাজ্য। কিন্তু কথায় আছে, প্রদীপের নীচেই অন্ধকার। আবারও প্রমাণ হয়ে গেল তা। শেষ পর্যন্ত বন্ধই হয়ে যাচ্ছে সিপিআইয়ের মুখপত্র। দীপাবলির আলোর মাঝেই যবনিকা পতন ঘটে যাবে ইতিহাসের এক অধ্যায়ে।
চলতি মাসেই ত্রিপুরায় রাজরোষের মুখে পড়ে বন্ধ হয়েছিল সিপিএমের দৈনিক মুখপত্র। পরে, ত্রিপুরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির স্থগিতাদেশের জেরে এখন আবার চালু হয়েছে আগরতলার ওই কাগজ।
কলকাতায় সিপিআইয়ের মুখপত্র বন্ধের ঘটনা কিন্তু তেমন নয়। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিরকালই সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধ করার পরিপন্থী। এ রাজ্যের মত দেশের আর কোনও রাজ্যে বাক স্বাধীনতার অধিকার রক্ষিত হয় না।
দলীয় সূত্রের খবর, সিপিআইয়ের রাজ্য পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আর্থিক বোঝা বইতে না পেরেই এ বার বন্ধই করে দেওয়া হচ্ছে দলীয় মুখপত্রের প্রকাশনা। আগামী ১ নভেম্বর রাত থেকে ছাপাখানায় পাঠানো হবে না পরের দিন সকালের কাগজের প্লেট। উল্লেখ্য, কমিউনিস্ট ও বামপন্থী দলগুলির মধ্যে ওই ‘কালান্তর’-ই ছিল প্রথম সাপ্তাহিক ও দৈনিক মুখপত্র।
সিপিআইয়ের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর এক সদস্যের কথায়, ‘আর্থিক সঙ্কট নিয়েও কাগজ চালু রাখা হয়েছে বহু দিন। তবে আর কোনও উপায়ান্তর না দেখে দুঃখজনক একটা সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’