পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে এসে পশ্চিম উত্তরপ্রদেশের সামলি জেলার লিসাদ গ্রামে কৃষকদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়লেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী-সহ এলাকার বিজেপি বিধায়ক, সাংসদরা।
দিল্লী সীমানায় কৃষক বিক্ষোভের প্রভাব ছড়িয়ে দিতে উত্তরপ্রদেশের গ্রামে গ্রামে বিজেপিকে বয়কটের ডাক দিচ্ছেন কৃষকরা। দু’দিন আগেই ভারতীয় কিসান ইউনিয়নের নেতা নরেশ টিকায়েত দিন দুয়েক আগে সেই প্রচার চালিয়ে গিয়েছিলেন। তার পরই ভোটের প্রচারে ওই এলাকায় গিয়েছিলেন মুজফফরনগরের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সঞ্জীব বালিয়ান এবং বুলদানার বিধায়ক উমেশ মালিক। বয়শাল গ্রামে তাঁরা ঢুকতেই স্লোগান ওঠে ‘বালিয়ান মুর্দাবাদ, কিসান একতা জিন্দাবাদ’। সম্বল জেলার বারদৌলা গ্রামের বাইরে একটি পোস্টারের ছবি সামনে এসেছে। তাতে লেখা, ‘জয় জওয়ান, জয় কিসান। ভারতীয় কিসান ইউনিয়ন জিন্দাবাদ। বিজেপি নেতাদের এই গ্রামে ঢোকা নিষিদ্ধ।’
কাল খাণ্ডে খাপ-পঞ্চায়েতের বাবা সঞ্জয় সিং বলেন, কৃষকদের যেভাবে দেশদ্রোহী আর বিশ্বাসঘাতকের তকমা দেওয়া হচ্ছে, তাতে গ্রামবাসীরা ক্ষুব্ধ। তাঁর কথায়, ‘বিজেপি নেতারা যদি আমাদের সঙ্গে কথা বলতে চান, তাহলে তাঁদের আগে দল থেকে ইস্তফা দিতে হবে। আমাদের একজন হয়ে উঠতে হবে।’
সামনেই জেলা পঞ্চায়েতের নির্বাচন উত্তরপ্রদেশে। ওই এলাকার জাঠ-ভোট জিইয়ে রাখতেই প্রচারে গিয়েছিলেন নেতারা। ২৬টি জেলাপঞ্চায়েতের মধ্যে ১৮টি জায়গায় জাঠ-ভোট গুরুত্বপূর্ণ ‘ফ্যাক্টর’। গতবার ওই ২৬টি জেলাপঞ্চায়েতের মধ্যে ২৫টি-তেই জিতেছিলেন বিজেপি সমর্থনে দাঁড়ানো প্রার্থীরা, জানালেন গেরুয়া শিবিরের এক নেতা।
ওই গ্রামের খাপ পঞ্চায়েত নেতা বাবা হরিকৃষ্ণণ বলেন, ‘বালিয়ান এবং উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েতি রাজ দপ্তরের মন্ত্রী ভূপেন্দ্র চৌধুরিকে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেন্দ্রকে তিনটি কৃষি আইন বাতিল করতেই হবে। আমরা এটাও জানিয়েছি, গত বছর থেকে আখচাষিরা এখনও তাঁদের বকেয়া টাকা পাননি।’