সাহস থাকলে নাম নিয়ে কথা বলুন অমিত শাহ। ‘ভাইপো’ কটাক্ষ নিয়ে অমিত শাহের উদ্দেশে একাধিক বার এই বার্তা দিতে দেখা গিয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এ বার তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও সেই আক্রমণের জবাব দিলেন। নিশানা করলেন অমিত-পুত্র জয় শাহকে। অল্প সময়ের মধ্যে কী ভাবে কোটি কোটি টাকার মালিক হলেন জয়, কোন যোগ্যতায় ক্রিকেট বোর্ডে জায়গা হল তাঁর, প্রশ্ন তুললেন তিনি। শুধু তাই নয় অমিত শাহের ছেলে তাঁরও ভাইপো হয় বলে বিজেপিকে মনে করিয়ে দিলেন মমতা।
এ দিন পৈলানে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, ‘খালি পিসি-ভাইপো করছে। আগে ভাইপোর সঙ্গে লড়াই করে দেখাও। মনে রাখুন অমিত শাহ, দুর্নীতির অভিযোগ থেকে আপনার ছেলেও রক্ষা পাবে না। নিজের ছেলেকে আড়াল করবেন আর বাকিদের ভয় দেখাবেন। আপনার ছেলে কী করে ক্রিকেটের মাথায় বসল? কী করে কোটি কোটি টাকা করল? মনে রাখবেন সে-ও তো আমার ভাইপো।’
নির্বাচনী প্রচারে বার বার বিজেপি নেতৃত্বের মুখে ‘পিসি-ভাইপো’ কটাক্ষ উঠে এসেছে। কালীঘাট প্রসঙ্গে উঠে এসেছে পরিবারেরতন্ত্রের প্রসঙ্গও। তা নিয়েও এ দিন গেরুয়া শিবিরকে একহাত নেন মমতা। তিনি বলেন, ‘অভিষেক বাড়তি প্রাধান্য পায় না আমার কাছে। হাজরায় যখন আমাকে মারা হয়েছিল, মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ও তখন ছোট। মাথায় ব্যান্ডেজ দেখে একাই কংগ্রেসের পতাকা নিয়ে মিছিল করত। স্লোগান দিত, দিদিকে কেন মারলে জবাব দাও। তার জন্যই ওকে রাজনীতিতে এনেছি। তোমাদের ছেলেমেয়েরা তো বিদেশে চলে যায়। আমাদের ছেলেমেয়েরা এই মাটিতে থেকে লড়াই করে।’
মমতা আরও বলেন, ‘অভিষেককে দুর্ঘটনা করে মেরে ফেলার চেষ্টা হয়নি? আজও একটা চোখে দেখতে পায় না। আমার পরিবার এমন কোনও কাজ করবে না, যাতে বাংলার মানুষের ক্ষতি হবে। প্রত্যেক পরিবারই বড় হয়। আমাদের পরিবারও চার প্রজন্ম ধরে ধীরে ধীরে বড় হয়েছে। প্রতিদিন আমার জন্য অভিষেককে কথা শুনতে হয়। আমার খারাপ লাগে। আমার বাড়ির মেয়েদের আর ছোটদের গালাগালি দেবে না।’
বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ বলে মমতা বলেন, ‘রথে চড়ে জগন্নাথ-বলরাম-সুভদ্রা। এখন দেখছি এরা জগন্নাথ হয়ে গিয়েছে। হাতও আছে। রথযাত্রাও ফ্লপ, নেতাদের মিটিংও ফ্লপ। বাইরে থেকে লোক এনে সভা করতে হয়। আর প্রতিদিন নাকি ওদের উপর হামলা হয়! পুরনো সবাই তো চলে গিয়েছে। কয়েক জন নতুন গিয়ে জুড়ে বসেছে। এঁচোড়ে পাকাগুলোই বিজেপিকে খেয়ে নেবে। তোমাদের নিয়ে মাথা ঘামানোর প্রয়োজনই নেই আমার। ২০২১-এ সবচেয়ে বেশি ভোটে জিতব আমরা। বাংলাকে ধমকে-চমকে লাভ নেই। মানুষের কাছে মাথা নত করব আমি। বিজেপির কাছে মাথা নত করার আগে মৃত্যু ভাল।’