গত লোকসভা ভোটে উত্তরের দিকে অনেকগুলি আসন পেলেও দক্ষিনবঙ্গে দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি। তৃণমূল ঝড়ে রীতিমত উড়ে গিয়েছিল গেরুয়া শিবির। তাই বিধানসভা নির্বাচনের আগে নয়া উদ্যমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেলা চষছেন অমিত শাহ। আর ঠিক সেই দিনেই পাল্টা পৈলানে সভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সভাস্থল থেকে নরমে-গরমে বিঁধলেন বিজেপিকে, উস্কে দিলেন আদি-নব্য বিজেপি তরজা। প্রশ্ন রাখলেন, সোনার বাংলা বলছে বিজেপি, তাহলে উত্তরপ্রদেশ সোনার হল না কেন? সোনার ভারতই বা হল না কেন?
২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৩১টি আসনের মধ্যে ২৯টিতেই জয় এসেছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে। ২০১৯ সালেও দাঁত ফোটাতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু তারপর দ্রুত পটপরিবর্তন হয়েছে। অভিষেক ঘনিষ্ঠ শোভন চট্টোপাধ্যায় আজ বিজেপিতে। আবার শোভন ঘনিষ্ঠ দীপক হালদারও দল ছেড়েছে। কিন্তু তাতে ভাবমূর্তি এতটুকুও টাল খাবে না বলে মনে করছেন অভিষেক। তিনি বলছেন, দক্ষিণ ২৪ পরগণায় ৩১-০ করতে হবে। সামগ্রিক ভাবেই দলের বড় জয় নিয়ে আশাবাদী অভিষেক। এদিন সভাস্থল থেকে তাই বার্তা দিলেন, “তৃণমূলের ফল ২৫০ এর নীচে নামবে না, মানুষের মন বুঝে বলছি।”
বিজেপির নেতারা মাঝেমাঝেই ঘুরিয়ে ফিরেয়ে বলছেন মমতা জমানায় কাজ হয়নি। আজ প্রায় চ্যালেঞ্জের সুরেই অভিষেক বললেন, তথ্য আর পরিসংখ্যান নিয়ে আমি বসতে ঘুচাই। দশ শূন্য গোলে হারাব।আমাদের নেত্রী দশ বছরে বাংলায় যা করেছে তা গোটা ভারতে হয়নি। একে একে এল স্বাস্থ্যসাথী বনাম আয়ুস্মান ভারত প্রসঙ্গও। অভিষেক বললেন, স্বাস্থ্যসাথীকে ভাঁওতাবাজি বলছে অথচ দিলীপ ঘোষের বা়ড়ির লোককে বোঝাক। উল্লেখ্য দিলীপ ঘোষের পরিবারকে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করতে দেখা গিয়েছিল।