ত্রিপুরার রাজপরিবারের উত্তরসূরি প্রদ্যোতকিশোর দেববর্মনও এবার নাগরিক পঞ্জি চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করলেন। তাঁর দাবি, কাউকে রাজ্য থেকে বহিষ্কারের পক্ষপাতী তিনি নন। তবে ত্রিপুরার ভারতভুক্তির জনবিন্যাসকে ভিত্তি করে বিধানসভায় উপজাতিদের জন্য আরও বেশি আসন সংরক্ষণই তাঁর লক্ষ্য। একই সঙ্গে সমালোচনা করলেন পাতালকন্যা জামাতিয়াদের করা রিট পিটিশনেরও। তাঁর মামলা গ্রহণ করছে দেশের শীর্ষ আদালত।
প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা পিপলস ফ্রন্টের ব্যানারে করা আর–একটি রিট পিটিশনে বাংলাদেশিদের শনাক্ত করে বিতরণের কথা বলা হয়েছে। এই মামলাটিও গ্রহণ করে আদালত নোটিস জারি করেছে। তবে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল অরুণকান্তি ভৌমিক জানান, তাঁরা কোনও নোটিসই পাননি। তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরায় এনআরসি অপ্রাসঙ্গিক। তাই এই সব মামলাকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে লাভ নেই’।
প্রদ্যোতের দাবি, ১৯৫১ সালের আগে ত্রিপুরায় উপজাতিরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিলেন। এখন অনুপ্রবেশের ফলে তাঁরাই সংখ্যালঘু। ফলে ক্ষমতা চলে গেছে সংখ্যাগরিষ্ঠের হাতে। তাই পরিষদীয় রাজনীতিতে উপজাতিদের জন্য সংরক্ষণ বাড়াতে হবে বলে রিট পিটিশনে তিনি দাবি করেন। তাঁর সাফ কথা, রাজ্য বিধানসভার ৬০ আসনের মধ্যে ৩০টি করতে হবে উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত। ২০টি আসন এখন উপজাতিদের জন্য সংরক্ষিত রয়েছে। লোকসভার দুটি আসনের মধ্যে একটি বর্তমানে সংরক্ষিত। এ ক্ষেত্রে অবশ্য পরিবর্তন চান না তিনি। প্রদেশ কংগ্রেসের তিনি কার্যকরী সভাপতি হলেও প্রদ্যোতের দাবি, তিনি ত্রিপুরার একজন নাগরিক হিসেবেই মামলাটি করেছেন। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, এনআরসি চাইলেও তিনি বাঙালি খেদাওয়ের বিরোধী। পাতালকন্যা জামাতিয়ার করা অন্য একটি রিট পিটিশন রাজ্যে অশান্তি ডেকে আনবে বলেও তাঁর অনুমান।