জানুয়ারির মাঝামাঝিই দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম কোভিড টিকাকরণ কর্মসূচী। তবু সেই প্রক্রিয়ার উপর মোটেই ভরসা রাখতে পারছেন না অধিকাংশ ভারতীয়। সম্প্রতি এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য। অতিমারী থেকে বাঁচতে সরকার স্বাস্থ্যকর্মীদের করোনার টিকা দিচ্ছে ঠিকই। কিন্তু লোকাল সার্কেলসের সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে, ৬০ শতাংশ ভারতীয়ই নাকি টিকার উপর আস্থাশীল নন। তিন সপ্তাহ আগে অবশ্য সংখ্যাটা ৬৯ শতাংশ ছিল। দিন দিন সেটা কমছে। উল্লেখ্য, সাধারণের অনেকে বলছেন, শরীরে টিকা কতটা নিরাপদ, বিজ্ঞানীরাও সে ব্যাপারে খুব একটা নিশ্চিত নন। ল্যানসেটের মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন জার্নালে বিভিন্ন স্তরের ট্রায়াল রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে ঠিকই, তবে এত কম সময়ে বাজারে টিকা চলে আসায় সবাই ভয়ে ভয়েই রয়েছেন। দেশের কিছু জায়গায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দেওয়ায় বেড়েছে উদ্বেগ।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস পড়তেই ভারত বায়োটকের কোভ্যাকসিন এবং ব্রিটিনের অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ডের তৈরি কোভিশিল্ড প্রথম ফেজে তিন কোটি স্বাস্থ্যকর্মীকে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়। গত ১৬ই জানুয়ারি টিকাকরণের কাজ শুরু হয়। তার পর দেশের নানা প্রান্ত থেকে টিকা প্রাপকদের অসুস্থ হওয়ার খবর আসতে থাকে। এমনকী, টিকা নেওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন কেউ কেউ। যদিও টিকা গ্রহণের পর কেউ অসুস্থ হলে সেই ব্যক্তির দায়িত্ব নেওয়ার কথা টিকাপ্রস্তুতকারক সংস্থার। তা–ও মানুষের শঙ্কাবোধ কাটছে না বলেই ধারণা একাংশের।
উক্ত সমীক্ষার রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ৫৯ শতাংশেরই মত, যে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কী কী থাকতে পারে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাছাড়া, করোনার নতুন স্ট্রেন এসে যাওয়ায় তাতে কতটা কী কাজ করবে ভ্যাকসিন, সে নিয়েও ধোঁয়াশায় রয়েছেন অনেকে। যদিও পরিস্থিতি আগের থেকে অনেকটাই সন্তোষজনক। আগে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ আস্থা হারিয়েছিলেন টিকার উপর থেকে। এখন তা একটু কমেছে।