প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লায় কৃষকদের তাণ্ডবের নেপথ্যে এবার এক ‘বিজেপিপন্থী’ অভিনেতার হাত দেখছেন বিক্ষোভকারী কৃষকরা। তাঁদের দাবি, পাঞ্জাবি গায়ক ও অভিনেতা দীপ সিধুর উসকানিতেই দিল্লীতে যাবতীয় অশান্তি ঘটেছে। এর নেপথ্যে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র কাজ করছে বলেও দাবি করছেন ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন নামের এক কৃষক সংঠনের নেতা।
গতকাল কৃষকরা লালকেল্লার দখল নেওয়ার পরই ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়ন নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে। বিকেইউ নেতা রাকেশ টিকায়েত দাবি করেছেন, ‘আমরা লালকেল্লায় যেতে চাইনি। অশান্তি যারা ছড়িয়েছে তাঁরা রাজনৈতিক দলের সদস্য। আমরা তাঁদের শনাক্ত করতে পেরেছি। কৃষকদের আন্দোলনকে কলুষিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’ এরপরই ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের হরিয়ানা ইউনিটের প্রধান গুরনাম সিং চাড়ুনি দাবি করেছেন, ‘পাঞ্জাবি গায়ক দীপ সিধুর নেতৃত্বেই কৃষকদের একটি দল লালকেল্লায় গিয়েছিল। ওই হিংসায় উসকানি দিয়েছে। বিক্ষোভকারীদের উত্যক্ত করেছে।’ রাতে কৃষক আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত স্বরাজ ইন্ডিয়ার নেতা যোগেন্দ্র যাদবও দাবি করেছেন, ‘দীপ সিধু কৃষকদের তাণ্ডবের সময় লালকেল্লায় উপস্থিত ছিল। আমরা শুরু থেকেই ওর বিরোধিতা করে এসেছি। গোটা ঘটনার তদন্ত হওয়া উচিত।’
বস্তুত, যার বিরুদ্ধে এই হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তিনি নিজেও ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন। এক ফেসবুক লাইভে পাঞ্জাবী গায়ক-অভিনেতা দাবি করেছেন, ‘আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার বলে লালকেল্লায় শুধু নিশান সাহিবের পতাকা লাগিয়েছি। ভারতের জাতীয় পতাকা সেখান থেকে সরানো হয়নি।’ সিধুর এই ফেসবুক লাইভকে কৃষকরা তাঁর কৃতকর্মের স্বীকারোক্তি হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তাঁদের দাবি, দীপ সিধুর বিক্ষোভে যোগ দেওয়া নিয়ে শুরু থেকেই আপত্তি ছিল তাঁদের। দীপ আসলে বিজেপি সাংসদ তথা অভিনেতা সানি দেওলের ঘনিষ্ঠ। গত লোকসভা ভোটে বিজেপির হয়ে প্রচারও করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ আছে বলে দাবি কৃষকদের।