বাংলার খেলাধুলোর মুকুটে আরও একটি সাফল্যপালক। এবার পদ্মশ্রী পাচ্ছেন মৌমা দাস। আপ্লুত বাংলার এই মহিলা টেবল টেনিস খেলোয়াড়। দিল্লী থেকে ফোন পাওয়ার পর প্রথমে বিশ্বাসই হয়নি মৌমার। বললেন, ‘‘ফর্ম ভর্তি করে পাঠাতে হয়। সেটা করেছিলাম ঠিকই, কিন্তু আশা করিনি, আমাকে এত বড় সম্মান দেওয়া হবে। তাই প্রথম যখন খবরটা পেলাম, বিশ্বাসই হয়নি।’’
উল্লেখ্য, মৌমার দেশের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক পুরস্কার পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি বিরাট তাৎপর্য আছে। পদ্মশ্রী সম্মানের ৬৭ বছরের ইতিহাসে মৌমা দেশের মাত্র দ্বিতীয় টেবল টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরস্কার পেলেন। এর আগে ২০১৯ সালে শরথ কমল প্রথম টিটি খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরস্কার পান। এতে আরও বেশি খুশি মৌমা। ‘‘টিটি-তে আমি মাত্র দ্বিতীয় প্লেয়ার হিসেবে পদ্মশ্রী পেলাম। এই জন্যই প্রথমে বিশ্বাস হয়নি। এটা আমাকে আরও বেশি গর্বিত করেছে।’’ জানিয়েছেন তিনি। নিজের মেয়েকে এই পুরস্কার উৎসর্গ করে মৌমা বললেন, ‘‘সবাই বলে ও আসার পর আমার জীবনে অনেক উন্নতি হয়েছে। এটাও একটা সাফল্য। তাই এই পুরস্কার ওকেই উৎসর্গ করলাম।’’ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে টিটি-তে ভারতের আরও সাফল্য চাইছেন ৩৬ বছরের মৌমা। বললেন, ‘‘আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও সাফল্য দরকার আমাদের। না হলে দেশে এই খেলাটা জনপ্রিয় হবে না।’’
প্রসঙ্গত ১৯৯৭ সালে প্রথম দেশের হয়ে বিশ্ব টেবল টেনিসে খেলেন মৌমা। ২০০৪ সালের অলিম্পিক্সে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। দ্বিতীয় অলিম্পিক্সে সুযোগ পান ১২ বছর পরে ২০১৬ সালে। পরের বছর বিশ্ব টেবল টেনিসে মণিকা বাত্রাকে নিয়ে ডাবলসের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠেন। ২০১৮ কমনওয়েলথ গেমসে এই জুটি দেশকে রৌপ্যপদক এনে দিয়েছিল।