কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত ছিল। তা সত্ত্বেও শেষরক্ষা হল না। গেট ভেঙে লালকেল্লায় ঢুকে গেলেন বিক্ষোভকারী কৃষকরা। লালকেল্লায় নিজেদের পতাকাও উত্তোলন করলেন তাঁরা। লালকেল্লার একটি গম্বুজেও পতাকা উড়িয়ে দেন এক বিক্ষোভকারী। বলা যায়, প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লার দখল নিল আন্দোলনকারী কৃষকরা।
তিনটি পথে মিছিল করার অনুমতি পান কৃষিআইন বিরোধী বিক্ষুব্ধ কৃষকরা। ৩৭টি শর্তও বেঁধে দেওয়া হয়। বলা হয় কোনও দেশবিরোধী স্লোগান দেওয়া যাবে না। তবে মঙ্গলবার সকালে একদিকে যখন রাজপথে কুচকাওয়াজের ঘনঘটা তখন শুরুতেই শর্ত লঙ্ঘন করে দিল্লী পুলিশকে বিপাকে ফেলেন সিংঘু ও টিকরি সীমানায় জমা হওয়া এই কৃষকরা। ক্রমেই তারা এগোতে থাকেন রাজধানীর দিকে। পথে দফায় দফায় ব্যারিকেড ভাঙেন তাঁরা।
কিষাণ মোর্চার একজন প্রতিনিধির দাবি যারা সময়ের আগে ব্যারিগেড ভাঙলেন তারা কিষাণ মজদুর সংঘর্ষ কমিটির সদস্য। তাঁরা সোমবারই ঘোষণা করেছিল,সাধারণ তন্ত্র দিবসে রিংরোডে পৌঁছবে তাদের ট্রাক্টর মিছিল। ১ ফেব্রুয়ারি বাজেট অধিবেশনের দিনে সংসদে পদযাত্রার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁদের। নিরাপত্তা বজায় রাখতে আপাতত নানগলোই, নানগোলোই রেলস্টেশন, রাজধানী পার্ক, গেভরা, তিকরি কলন, তিকরি বর্ডার, পন্ডিত শ্রীরাম শর্মা, বাহাদুরগড় সিটি, ব্রিগেডিয়ার হোশিয়ার সিং স্টেশনে প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়েছে।