২০১৯ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, অযোধ্যায় মসজিদ তৈরির জন্য বিকল্প জমি দিতে হবে। মঙ্গলবার ভারতের ৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবসে শুরু হল সেই মসজিদ তৈরির কাজ। তাঁর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হল। রোপণ করা হল গাছ।
ট্রাস্টের সচিব আতহার হুসেন বলেন, “হাসপাতাল চত্বরে থাকবে কমিউনিটি কিচেন। সেখানে রোজ ১ হাজার মানুষ খেতে পারবেন।” পরে তিনি জানান, ট্রাস্টের তরফে প্রস্তাবিত মসজিদের চারপাশে ২৫-৩০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছে। ট্রাস্টের সদস্যরা জানতে চেয়েছিলেন, স্থানীয় মানুষ কোন কোন রোগে বেশি আক্রান্ত হন। তাঁরা দেখেছেন, এলাকায় অনেকেই অপুষ্টিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই তাঁরা সেই সমস্যা দূর করার চেষ্টা করেছেন।
অযোধ্যায় ধন্নিপুর গ্রামে মসজিদ তৈরি করবেন ইন্দো-ইসলামিক কালচারাল ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের সদস্যরা। মসজিদের জন্য পাঁচ একর জায়গা দেওয়া হয়েছে। এদিন সকাল পৌনে ন’টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ট্রাস্টের প্রধান জাফর আহমেদ ফারুকি। ট্রাস্টের ১২ জন সদস্য প্রত্যেকে একটি করে গাছ রোপণ করেন। পরে ফারুকি বলেন, “আমরা সয়েল টেস্টিং-এর কাজ শুরু করলাম। অর্থাৎ মসজিদ নির্মাণের টেকনিক্যাল কাজ শুরু হল। সয়েল টেস্টিং রিপোর্ট আসার পরে আমাদের নকশা যদি অনুমোদিত হয়, তাহলে মসজিদ নির্মাণের কাজ শুরু হবে।” মসজিদ তৈরির জন্য ট্রাস্ট ডোনেশন চেয়েছে। ইতিমধ্যে অনেকে অনুদান দিয়েছেন।