স্বচ্ছ ভারতের দফারফা। স্টেশনে দাঁড়ানো ট্রেনের গায়েই প্রস্রাব করলেন খোদ এক রেলকর্মী। ঘটনাস্থল ব্যস্ত হাওড়া স্টেশন। ওই রেলকর্মীর এহেন কাজে রীতিমতো ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। প্রশ্ন উঠছে রেল স্টেশনে নির্ধারিত আইন কি শুধুই যাত্রীদের জন্য? অপরাধ করেও পার পেয়ে যাবেন রেলকর্মীরা?
ব্যস্ত হাওড়া স্টেশন চত্বরে এহেন ঘটনায় ক্ষুব্ধ যাত্রীরা। শৌচলয়ের বাইরে স্টেশন চত্বরে প্রস্রাব করা অপরাধ। হাওড়ার সিনিয়র ডিভিশনাল অপারেশন ম্যানেজার রোশন কুমার এই ঘটনার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেন, “এমন কাজ গার্ডের কাছ থেকে কাম্য নয়। হাওড়া স্টেশনে পর্যাপ্ত শৌচালয় রয়েছে। ফলে এই কাজ করতে পারেন না গার্ড।” যাত্রীদের অভিযোগ, গার্ডের এই আচরণ নতুন নয়। প্রায়ই এই অপরাধ করে থাকেন কতিপয় গার্ড। রেলকর্মী বলে অপরাধ করেও পার পেয়ে যান। অথচ সাধারণ যাত্রীদের এই অপরাধে ধরে আরপিএফ ও জিআরপি দুই এজেন্সির কর্মীরা। রেল পুলিশ জানিয়েছে, পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় এই কাজ অপরাধ। জরিমানা ২০০ টাকা। আরপিএফ জানিয়েছে, তারাও এই ধরণের অপরাধীদের ধরেন। রেল আইনের ১৪৫ ধারায় অপরাধীর জরিমানা এক হাজার টাকা। তবে কোর্ট অনুযায়ী জরিমানা ভিন্নও হয়।
জানা গিয়েছে, সোমবার দুপুর ১.৫০ মিনিট নাগাদ হাওড়া স্টেশনের ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে একটি ডাউন লোকাল ঢোকার পর ওই ট্রেনের কর্তব্যরত গার্ড নেমে ট্রেনের ফাঁকে প্রস্রাব করা শুরু করেন। হইহই করে কর্তব্যরত আরপিএফ ছুটে এলেও তাঁকে পাত্তা দেননি। বরং ‘স্টাফ’ বলে দাবি করে অপরাধের ছাড় নিতে চান। এই সময়ে যাত্রীদের একাংশ গার্ডের এহেন অপরাধের জন্য প্রতিবাদ করলে তেড়ে আসেন গার্ড বলে অভিযোগ উঠেছে। অপরাধ কবুল দূরের থাক, পালটা হুমকি দেন, “আপনাদের সামনে আবার প্রস্রাব করব। কি করবেন? গার্ডদের ডিউটি জানেন?” তবে, যাত্রীদের ক্ষোভ চরমে উঠলে শেষমেশ রণে ভঙ্গ দেন তিনি। যাত্রীদের মোবাইল অন করতে দেখে হন্তদন্ত হয়ে প্ল্যাটফর্ম সরে পড়েন ওই গার্ড।