ভিক্টোরিয়া কাণ্ডে এবার সরব হলেন মালদহের কংগ্রেস সাংসদ তথা জেলা কংগ্রেস সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা অনেক বিষয়ে সহমত নই। কিন্ত, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ভিক্টোরিয়ায় যে আচরণ করা হয়েছে, একজন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে, একজন মহিলার সঙ্গে, প্রধানমন্ত্রীর সামনে এমন অসভ্য ব্যবহার করা বাংলার লোক বরদাস্ত করবেন না।
ডালবাবু এ দিন আর বলেন, ‘জয় শ্রীরাম বলার আরো অনেক জায়গা আছে। আমি নিশ্চয়ই ভিক্টোরিয়ায় গিয়ে আল্লাহর নাম নিতাম না। যতই আল্লাহ পবিত্র হোন না কেন। কারণ ওই জায়গা আল্লাহর নাম নেওয়ার জায়গা নয়। তিনি আরো বলেন, ওঁরা হিন্দু ধর্মের বদনাম করছেন। স্বামী বিবেকানন্দ, রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব দেশবাসীকে রাস্তা দেখিয়েছেন। তাঁরা অন্যায় কোন কাজ বলেননি। ভারতবর্ষে হিন্দু ধর্ম বহু প্রাচীন ধর্ম। অন্যান্য বহু ধর্মকে হিন্দু ধর্ম আশ্রয় দিয়েছে। কখনো কারোর ধর্মাচরণে বাধা দেয়নি। ভারতবাসী এই পরিচয়টুকুই যথেষ্ট ছিল।’
ভিক্টোরিয়া কাণ্ডে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে সমালোচনা করেছেন ডালুবাবু। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কিছু বলবেন না। কারণ উনি যেকোনোমূল্যে গদি রাখতে চান।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলার লোক দেখিয়ে ধর্মাচরণ পছন্দ করেন না। আমরাও কাউকে জানিয়ে ধর্মাচরণ করিনা। এটাই বঙ্গের সংস্কৃতি। এখানে জয় শ্রীরাম বলে চিৎকার চেঁচামেচি এক ধরনের চিটিংবাজি। বাংলার মানুষ এমনটা পছন্দ করেন না। এ রাজ্যে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করেন, এক সঙ্গেই থাকবেন। ভিক্টোরিয়া এমন কান্ডে সকলের বদনাম হচ্ছে। কিছু মানুষ এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছেন। এমন আচরণ কোন অবস্থাতেই সমর্থনযোগ্য নয়।’ রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোটে মিম আর বিজেপি কোন দলই বিশেষ সুবিধা করতে পারবেন না বলে মত প্রকাশ করেছেন এই প্রবীণ সংসদ। বাংলার মানুষ ধর্মনিরপেক্ষতার পক্ষেই রায় দিবেন বলেও দাবি করেন তিনি।