৭২ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের প্রাক্কালে পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ এবং পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করা হল একাধিক কৃতি ব্যক্তিত্বকে। বাংলা থেকে ক্রীড়া, শিল্প, সাহিত্য ও সমাজসেবা-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের ৭ কৃতিকে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে। মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ পেয়েছেন কিংবদন্তি দক্ষিণী সঙ্গীত শিল্পী এস পি বালাসুব্রহ্মণ্যম। এই তালিকায় রয়েছেন দেশ-বিদেশের আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বও।
উল্লেখ্য, বাংলা থেকে পদ্মশ্রী সম্মানে সম্মানিত হলেন টেবল টেনিস তারকা মৌমা দাস। সাহিত্য ও শিক্ষাক্ষেত্র থেকে এই সম্মানে সম্মানিত হয়েছেন ধর্মনারায়ণ বর্মা, সুজিত চট্টোপাধ্যায়, জগদীশ চন্দ্র হালদার। শিল্পকলা বিভাগে সম্মানিত হয়েছেন বীরেন কুমার বসাক, নারায়ণ দেবনাথ এবং সমাজ কল্যাণের ক্ষেত্রে সম্মানিত হয়েছেন গুরুমা কালী সোরেণ। এবার এই তিন সম্মানের তালিকায় ৮ জন বিদেশী বিদ্বজনও রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, সঙ্গীত জগতে পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে কাজ করেছেন এস পি বালাসুব্রহ্মণ্যম। তামিল, তেলুগু, কন্নড় সিনেমার পাশাপাশি বলিউডের একাধিক ছবিতে তাঁর কণ্ঠ দর্শকদের মন ছুঁয়ে গিয়েছে। তালিকায় রয়েছে ‘ক্রিমিনাল’, ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘রোজা’-র মতো সিনেমা। একাধিক ছবিতে তাঁর অভিনয়ও দর্শকদের প্রশংসা পেয়েছে। এবার মরণোত্তর পদ্মবিভূষণে সম্মানিত করা হল তাঁকে।
এছাড়াও, পদ্মবিভূষণে সম্মানিত হয়েছেন জাপানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। পাবলিক অ্যাফেয়ার্সের জন্য এই সম্মান পেয়েছেন তিনি। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন কর্ণাটকের ডা. বেল্লে মোনাপ্পা হেগড়ে। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জন্য মরণোত্তর পদ্মবিভূষণ পেয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নারিন্দর সিংহ কাপানি। আধ্যাত্মের জন্য সম্মান পেলেন মৌলানা ওয়াহিদুদ্দিন খান। নৃতত্ববিদ্যার জন্য পেলেন বি. বি. লাল। শিল্পের ক্ষেত্রে তাঁর অবদানের জন্য পদ্মবিভূষণ পেলেন ওড়িশার প্রখ্যাত শিল্পী সুদর্শন সাহু।