নেতাজি জন্মজয়ন্তীতে শ্যামবাজার থেকে মিছিল শুরু করলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে শ্যামবাজার পাঁচমাথায় নেতাজির মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর কেন্দ্রকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘আমরা শুধু ভোটের বছর অনুষ্ঠান করি না। প্রতি বছর করি। চিরকাল নেতাজির পরিবারের সঙ্গে থাকি।’
এদিন শ্যামবাজারের পাঁচ মাথার মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করেন মমতা। তার আগে নেতাজির মূর্তিতে মালা গিয়ে শ্রদ্ধা জানান। নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী ১২টা ১৫ মিনিট নাগাদ সাইরেন বাজিয়ে পদযাত্রার সূচণা করেন মমতা। শ্যামবাজার থেকে রেডরোড পর্যন্ত দীর্ঘ ৯ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করবেন তিনি।
বক্তৃতা দিতে গিয়ে মমতা বলেন, ‘নেতাজি একটা আবেগ৷ তিনি ছিলেন প্রকৃত দেশনায়ক৷ নির্বাচনের আগে একদিন আমি নেতাজি পরিবারের খোঁজ নিই না৷ আমার সঙ্গে তাঁদের ৩৬৫ দিন যোগাযোগ থাকে৷ আমরা বুঝি এই পরিবারটা আমাদের গর্বের৷’ নেতাজি ভবনে গিয়েও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করিয়ে দেন, নেতাজির জন্মদিনকে জাতীয় ছুটি হিসেবে ঘোষণার জন্য দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছে তৃণমূল৷ যদিও সেই দাবি মানা হয়নি৷ জাতি, ধর্ম, নির্বিশেষে যে নেতাজি সবাইকে নিয়ে কাজ করেছিলেন, সেকথাও মনে করিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কেন্দ্র নেতাজির জন্মদিনকে পরাক্রম দিবস হিসেবে ঘোষণা করলেও তিনি যে তাতে খুশি নন তাও স্পষ্ট করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, ‘পরাক্রম দিবস বুঝি না৷ আজ দেশনায়ক দিবস।’ পাশাপাশি নেতাজির প্রতি মোদি সরকার সত্যিই কতটা শ্রদ্ধাশীল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা৷ তিনি বলেন, ‘নেতাজির প্রতি এত শ্রদ্ধা থাকলে কেন প্ল্যানিং কমিশনকে তুলে দেওয়া হল?’
এদিন সকালে একটি টুইটে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, আজাদ হিন্দ ফৌজের নামে রাজারহাটে একটি সৌধ তৈরি করবে রাজ্য সরকার৷ এ ছাড়াও সম্পূর্ণ রাজ্যের উদ্যোগে নেতাজির নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে৷ বিভিন্ন বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে কাজ করবে সেই বিশ্ববিদ্যালয়৷