বিশ্বজোড়া আন্তর্জাতিক বাজারে হঠাৎই কমল তেলের দাম। বৃহস্পতিবার মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারিডিয়েটে অপরিশোধিত তেলের ফিউচার প্রাইজ ০.৫০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। ফলে ২৭ সেন্ট কমে প্রতি ব্যারেল তেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৫৩.০৪ মার্কিন ডলার। একইভাবে, ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের ফিউচার ০.৫০ শতাংশ নীচে নেমে গিয়েছে। ফলে প্রতি ব্যারেলের দাম দাঁড়িয়েছে ৫৫.৮২ মার্কিন ডলার। এদিকে, আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামের ওঠানামা সত্ত্বেও ভারতে তা স্থির আছে।
প্রসঙ্গত, এই মুহূ্র্তে দেশে রেকর্ড দামে বিক্রি হচ্ছে পেট্রোল ও ডিজেল। যদিও দায় এড়াতে এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য তেল উৎপাদক দেশগুলির দিকে আঙুল তুলেছেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়ামমন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তাঁর সাফাই, কোভিডের কারণে উৎপাদক দেশগুলি উৎপাদন কমিয়ে দেওয়ায় চাহিদা অনুসারে জোগান নেই। আর পেট্রো পণ্যের ক্ষেত্রে ভারত আমদানি নির্ভর হওয়ায় পেট্রোল ও ডিজেলের দাম রেকর্ড স্তর স্পর্শ করেছে। যদিও সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে জ্বালানিতে কর কমানোর যে দাবি উঠছে সেই বিষয়ে মন্ত্রী কোনও উচ্চবাচ্য করেননি। যে কারণে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। উঠছে সমালোচনার ঝড়ও।
উল্লেখ্য, ভারতে দৈনিক ভিত্তিতে ভারতের খুচরো বাজারে জ্বালানি তেলের দাম স্থির করে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলি। সরকারি নিয়ম অনুসারে আন্তর্জাতিক বাজারের নিরিখে এদেশে জ্বালানির দর নির্ধারিত হওয়ার কথা। প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে নতুন দাম কার্যকর হয়। বুধবারের মতো বৃহস্পতিবারও পেট্রল ও ডিজেলের দাম অপরিবর্তিত রেখেছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানিগুলি। । দেশের প্রধান মেট্রো শহরগুলির মধ্যে মুম্বইতে প্রতি লিটার পেট্রোল ও ডিজেলের দাম সবথেকে বেশি; যথাক্রমে ৯১.৮০ টাকা এবং ৮২.১৩ টাকা। কলকাতা-সহ দেশের প্রধান এই চারটি মেট্রো শহরে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে তেলের।